কাছাড়ে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক ‘অন্ন সেবা দিন’ প্রকল্পের উদ্বোধন
শিলচর (অসম), ১০ নভেম্বর (হি.স.) : আজ সোমবার জেলাশাসক মৃদুল যাদবের নেতৃত্বে ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন’-এর অধীন কাছাড় জেলাজুড়ে অসম সরকারের জনকল্যাণমূলক ‘অন্ন সেবা দিন’ প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। গুয়াহাটিতে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার হাত ধরে রাজ
শিলচরের রংপুরে সুবিধাভোগীর হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন জেলাশাসক মৃদুল যাদব


শিলচর (অসম), ১০ নভেম্বর (হি.স.) : আজ সোমবার জেলাশাসক মৃদুল যাদবের নেতৃত্বে ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন’-এর অধীন কাছাড় জেলাজুড়ে অসম সরকারের জনকল্যাণমূলক ‘অন্ন সেবা দিন’ প্রকল্পের সূচনা হয়েছে।

গুয়াহাটিতে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার হাত ধরে রাজ্যস্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কাছাড়ের প্রতিটি ন্যায্যমূল্যের দোকানে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন’-এর অধীন বিনামূল্যের চালের সঙ্গে অতিরিক্তভাবে ভরতুকিযুক্ত মসুর ডাল, লবণ ও চিনি দেওয়া হচ্ছে কাছাড় জেলার ১৩ লক্ষাধিক সুবিধাপ্রাপককে। অসম সরকারের প্রবর্তিত সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইলেক্ট্রিক পয়েন্ট অব সেল (ই-পিওএস) ব্যবস্থা পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ, নির্ভুল ও বাস্তবসম্মত পর্যবেক্ষণের আওতায় এনেছে।

উল্লেখ্য, একযোগে জেলা পর্যায়ে উন্মোচন কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাছাড়ের ১,৭৫৬টি ন্যায্যমূল্যের দোকানে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়, যা ৩.৮৮ লক্ষ রেশন কার্ড এবং ১৩ লক্ষাধিক সুবিধাপ্রাপককে অন্তর্ভুক্ত করেছে। কাছাড় জেলার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শিলচর হোল সেল কো-অপারেটিভের অধীনে রংপুরে। সেখানে জেলাশাসক মৃদুল যাদব আনুষ্ঠানিকভাবে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন সহকারী আয়ুক্ত তথা খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-অধিকারী জুনালী দেবী, অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, স্থানীয় বাসিন্দারা, ন্যায্যমূল্যের দোকানের মালিক এবং সমবায় সমিতির সদস্যগণ।

সুবিধাপ্রাপকদের সাথে আন্তরিক আলোচনায় জেলাশাসক মৃদুল যাদব নিজে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে নতুন ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তাঁদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নেন। বক্তব্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “অসমের গণবণ্টন পরিষেবা এখন একটি সুশৃঙ্খল, স্বচ্ছ ও নাগরিক-কেন্দ্রিক ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। ‘অন্ন সেবা দিন’ আমাদের সরকারের সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন, যা প্রতিটি পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে।”

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে সুবিধাপ্রাপকগণ প্রতি মাসের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর কোটার সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। এর ফলে প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি পরিবার সময়মতো এবং সহজভাবে তাঁদের অধিকারভুক্ত খাদ্যসামগ্রী পাবেন। তিনি ন্যায্যমূল্যের দোকানদার ও সমবায় সমিতিগুলিকে সততা ও সময়নিষ্ঠতার সঙ্গে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান।

এদিকে, কাছাড়ের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে একযোগে অতিরিক্ত জেলাশাসক, সহকারী আয়ুক্তগণ এবং বিডিওরা নিজ নিজ এলাকার ন্যায্যমূল্যের দোকানে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় শিলচর থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande