এসআইআর-র বিরুদ্ধে সরব হয়ে নেটনাগরিকদের তোপের মুখে কবীর সুমন
অশোক সেনগুপ্ত কলকাতা, ১০ নভেম্বর, (হি.স.): কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চ থেকেই এসআইআর এবং হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নেটনাগরিকদের তোপের মুখে পড়লেন প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। একটি দৈনিক সংবাদপত্রে তাঁর প্রকাশিত প্রকাশ্য মন্তব্
কবীর সুমন


অশোক সেনগুপ্ত

কলকাতা, ১০ নভেম্বর, (হি.স.): কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চ থেকেই এসআইআর এবং হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নেটনাগরিকদের তোপের মুখে পড়লেন প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন।

একটি দৈনিক সংবাদপত্রে তাঁর প্রকাশিত প্রকাশ্য মন্তব্য রবিবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার ১১ ঘন্টা পর সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় মন্তব্য এসেছে ৫১০টি। এর সিংহভাগেই নেটনাগরিকদের কড়া সমালোচনা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে কবীর সুমনের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে, “৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসে এসআইআর প্রসঙ্গে কবীর সুমন বলেন, “বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই হিন্দি-হিন্দুত্ব সাম্রাজ্যবাদ রুখতে হবে।

ধর্মভিত্তিক সবকিছু এটা তো কস্মিনকালেও ছিল। এই আগ্রাসনের যে বাড়বাড়ন্ত তা যদি এখনই প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ না করা সম্ভব হয় তাহলে আগামীতে অসুবিধার মুখে পড়তে হবে বঙ্গবাসীকেই।”

মন্তব্যে সুমিত সুর লিখেছেন, “তোকে 'রাম পেদান' উচিত।” আশিস ব্যানার্জী লিখেছেন, “তাই নাকি কাকু! বেড়ে বলেছেন! অনেক কিছু বলা যেত কিন্তু লেখাটা বড় হয়ে যাবে। শুধু চিড়বিড়ানি দেখে একচোট হেসেই লেখাটা শেষ করি।” সুমন দেবনাথ লিখেছেন, “এর গর্তেও কি কার্বলিক অ্যাসিড পড়েছে?”

দিগন্ত মজুমদার লিখেছেন, “শিল্পী হিসেবে যতটাই বরেণ্য.. মানুষ হিসেবে ততটাই ঘৃণ্য...”।

অনুপ পাহান লিখেছেন, “হিন্দুত্ব বাদ ছিল, আছে থাকবে। এটার জন্য যাদের অসুবিধা তাদের জন্য আমাদের পড়শী দেশ তো আছেই। ওখানে যান।” অনুপ দেব লিখেছেন, “ব্যাঙ-এর গর্জন কেউ ভয় পায় না।”

বরুণ মাইতি লিখেছেন, “চেটে রোজগার করা সব থেকে সহজ পথ।” গৌতম গাঙ্গুলি লিখেছেন, “আবার গর্ত থেকে বেরিয়ে পড়েছে।” গোবিন্দ বিশ্বাস লিখেছেন, “এই অসভ্য লোকটার ভারতবর্ষের অন্ন ধ্বংস করার আর কোনো প্রয়োজন নেই। একে হয় পাকিস্তান, নয় বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হোক। ওগুলোই ওনার আসল জায়গা। হিন্দুস্তান বা ভারতে থাকার ওনার কোন প্রয়োজন নেই।” রবীন বসু লিখেছেন, “দেশ বিরোধী, সংবিধান বিরোধী, হিন্দু বিরোধী, গণতন্ত্রের হত্যাকারী।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande