সিএএ-র উপযোগিতা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
কলকাতা, ১০ নভেম্বর (হি.স.): “কোনও রাজ্য সরকারের থেকে ভোটার কার্ড বানিয়ে নিলে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ হয় না।” সাংবাদিকদের সোমবার একথা বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি উদ্বাস্তু সমাজ, মতুয়া সমাজ এবং যাঁর
সিএএ-র উপযোগিতা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর


কলকাতা, ১০ নভেম্বর (হি.স.): “কোনও রাজ্য সরকারের থেকে ভোটার কার্ড বানিয়ে নিলে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ হয় না।” সাংবাদিকদের সোমবার একথা বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি উদ্বাস্তু সমাজ, মতুয়া সমাজ এবং যাঁরা ওপার বাংলা থেকে এসেছেন তাদের সিএএ-তে আবেদন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আবেদনকারীরা ভারতবর্ষে থাকতে পারবেন, নাগরিকত্ব পাবেন এবং ভোটও দিতে পারবেন। ১৯৫৫ সালের পাসপোর্ট অ্যাক্ট আইন অনুযায়ী ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাইয়ের আগে যাঁরা সশরীরে ওপার বাংলা থেকে ভারতে এসেছেন তাঁদের সন্তানদের সিএএ-তে আবেদন করতে হবে না।”

শান্তনুবাবু বলেন, “সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী যে লোকটি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন তিনি যখন ভারতে এসেছেন তাহলে তাঁকে ভারতের নাগরিকত্ব নিতে হবে।”

তিনি তাঁর বক্তব্যের প্রথমে সিএএ প্রসঙ্গে বলেন, কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে হঠাৎ করে দেশভাগ হওয়ায়, সাধারণ মানুষ জানতেই পারেননি দেশভাগ হওয়ার ফলে তাদের কি অবস্থান হতে চলেছে। ১৯৫৫ সালে পাসপোর্ট অ্যাক্ট আইন তৈরি হয়। এই আইনের মাধ্যমে ভারত সরকার প্রথম সিএএ করেন। এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সিএএ নিয়ে বিভিন্ন সংশোধন করা হয় এই উদ্বাস্ত মানুষদের জন্য।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বর্তমান ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় সরকার সার্বিকভাবে এই উদ্বাস্তু মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আইন তৈরি করে। ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাই তৎকালীন কংগ্রেস সরকার যে আইন এনেছিল তা ছিল সব থেকে ভয়ংকর।

সেখানে বলা হয়েছিল ১৯৮৭ সালের ১লা জুলাইয়ের পর থেকে যারা এই দেশে জন্মাবে তাদের বাবা-মার মধ্যে যে কোনও একজনকে ভারতের নাগরিক হতে হবে, তা না হলে জন্মাধিকার সূত্রে সে এদেশের নাগরিক হবে না।

সেই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও গৃহমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে আইন ২০১৯ সালে তৈরি হয় তা ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।

শান্তনুবাবু বলেন, গৃহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁদের কাউকে ভারত থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। তাহলে এটা থেকে প্রমাণ হয় যে যারা উদ্বাস্তুরা এসেছেন তাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক হবেন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande