
কলকাতা, ১৩ নভেম্বর (হি.স.): মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে খুশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে লিখলেন, ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী ওই মন্তব্যে শুভেন্দুবাবুর ‘রাজনৈতিক দ্বিচারিতা’-র অভিযোগ এনেছেন।
দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।
সংবাদ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কেউ দলত্যাগ করলে পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে যান। আমিও তাই করেছি। সিপিএম, কংগ্রেস তাদের বিধায়কদের রক্ষা করতে পারেনি। এটা আমাদের জয়।”
হাই কোর্টের নির্দেশ পর মুখ খুলেছে তৃণমূলও। আদালতের রায়ের বিরোধিতা করা যায় না জানিয়ে অরূপ চক্রবর্তী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে বিঁধে বলেন, “মুকুলদা অসুস্থ রয়েছেন। সুস্থতা কামনা করি। কিন্তু শুভেন্দুর রাজনৈতিক দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়েছে। নিজের বাবা-ভাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর দলত্যাগ বিরোধী আইনের কথা মনে পড়ে না।”
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। কয়েকবছর পর তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুও দলবদল করেন। ২০২০ সালে দলের হয়ে ভাল কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বিজেপিতে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান মুকুলবাবু। একুশের বিধানসভা ভোটে প্রায় প্রচার ছাড়াই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জেতেন তিনি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরপরই তিনি নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যান। ২০২১ সালের ১১ জুন তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের উত্তরীয় পরে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন তিনি। তাঁর এই ঘর বদলের পরই তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তাতে সুবিচার না পেয়ে বিজেপি আদালতের শরনাপন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার সেই মামলায় মুকুলবাবুর বিধায়ক পদ খারিজের নির্দেশ আদালতের। আইনজীবী মহলের ব্যাখা, হাই কোর্টের নির্দেশে কোনও বিধায়কের পদ যাওয়া কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত