দিল্লি বিস্ফোরণে মৃতের শেষকৃত্য নিয়ে মা ও স্ত্রী-র মতানৈক্য, পুলিশি হস্তক্ষেপে মুশকিল আসান
নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর (হি.স.): দিল্লিতে বোমা বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে ছিলেন ৩২ বছরের মহসিন। শেষকৃত্যের স্থান নিয়ে তাঁর মা এবং স্ত্রীর টানাপড়েনে দেহ আটকে থাকল পাঁচ ঘণ্টা। অবশেষে সমস্যা মেটাতে পুলিশের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। দিল্লিতে ই-রিক্সা চালাতেন
দিল্লি বিস্ফোরণে মৃতের শেষকৃত্য নিয়ে মা ও স্ত্রী-র মতানৈক্য, পুলিশি হস্তক্ষেপে মুশকিল আসান


নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর (হি.স.): দিল্লিতে বোমা বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে ছিলেন ৩২ বছরের মহসিন। শেষকৃত্যের স্থান নিয়ে তাঁর মা এবং স্ত্রীর টানাপড়েনে দেহ আটকে থাকল পাঁচ ঘণ্টা। অবশেষে সমস্যা মেটাতে পুলিশের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়।

দিল্লিতে ই-রিক্সা চালাতেন মহসিন। পুলিশ জানায় মৃতদের মধ্যে রয়েছে মহসিনের নাম। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে শনাক্ত করা হয় তাঁকে। শহরের একটি হাসপাতালে বেওয়ারিশ অবস্থায় পড়ে ছিল তাঁর দেহ। পরেরদিন সকালে মিরাটের ইসলামনগর এলাকায় তাঁর বাড়িতে দেহ পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ ধরেই নেয় মিরাটেই হবে তাঁর শেষ কৃত্য।

নিহতের পরিবারের ইচ্ছা ছিল যেখানে মহসিন বড় হয়েছেন সেখানেই হবে তাঁর শেষকৃত্য। শুরু হয় মহসিনের শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া। বাড়ি থেকে শেষযাত্রা শুরু হওয়ার ঠিক পরেই দিল্লি থেকে সেখানে পৌঁছান মহসিনের স্ত্রী সুলাতানা। দেহ আটকে মহসিনের মায়ের সামনে সটান নিজের আঁচল পেতে দিয়ে বলেন, ‘ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে দিন’।

সুলতানার দাবি, নিজের পরিবারকে ভাল রাখার জন্য, বাচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দিল্লিতে কাজ করতেন মহসিন। সেই শহরেরই নিজের ভালো ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তাই দিল্লিতেই তাঁর শেষকৃত্য হওয়া উচিত। এই টানাপড়েনে পেরিয়ে যায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশেষে সমাধান হয় সমস্যার।

সুলাতানার দাবি মেনে নেন মহসিনের মা সনজিদা। মহসিনের দেহ দিল্লিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। সুলতানা, সনজিদা এবং সুলাতানার ভাই সলমন রওনা হন দিল্লির উদ্দেশে। রাজধানীতে তাঁর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে পুলিশ।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande