ঝাড়গ্রামে টোটো রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স বিতর্কে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, বিপাকে সাধারণ মানুষ
ঝাড়গ্রাম, ১৭ নভেম্বর ( হি. স.): টোটো রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতার প্রতিবাদে সোমবার থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য টোটো ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সকালেই শহরে মিছিল করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট জানান টোটো চালকরা। টোটো সংগঠনের পক
টোটো ধর্মঘট


ঝাড়গ্রাম, ১৭ নভেম্বর ( হি. স.): টোটো রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতার প্রতিবাদে সোমবার থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য টোটো ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সকালেই শহরে মিছিল করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট জানান টোটো চালকরা। টোটো সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।সম্প্রতি রাজ্য পরিবহন দফতর ঘোষণা করেছে যে রাস্তায় টোটো নামাতে হলে রেজিস্ট্রেশন ও চালকের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। সরকারের নির্ধারিত ফি-ও জানানো হয়েছে। তবে ঝাড়গ্রাম জেলার টোটো চালকদের অভিযোগ, জেলা আরটিও ইচ্ছে মতো অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে এবং একাধিক নতুন নিয়ম দেখিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এত টাকা এককালীন দেওয়া অসম্ভব।পাশাপাশি পুরনো টোটোর রেজিস্ট্রেশন করাও দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সরকারি অনুমোদিত সংস্থাগুলির অনেকগুলোই এখন বন্ধ, ফলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে চালকদের অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে—তবুও রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত নয়। তাঁদের অভিযোগ, আরটিও প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম পরিবর্তন করছে, যা সম্পূর্ণ বেনিয়ম।টোটো ধর্মঘটের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ট্রেন, বাস বা বাজার থেকে ভারী ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরতে টোটোই ছিল ভরসা। বিশেষত বয়স্কদের সমস্যায় ফেলে দিয়েছে এই অচলাবস্থা। সাধারণ মানুষের একটাই দাবি—“অবিলম্বে টোটো পরিষেবা স্বাভাবিক করা হোক।”

হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়




 

 rajesh pande