
উদয়পুর (ত্রিপুরা), ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা দ্রুততার সঙ্গে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পঞ্চায়েত দফতরকে আরও সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী কিশোর বর্মণ। সোমবার গোমতী জেলা পঞ্চায়েতরাজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স হলে আয়োজিত জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সভায় জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য জানান, গোমতী জেলায় বর্তমানে ৪ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষের বসবাস। জেলায় ১টি জিলা পরিষদ, ৩টি মহকুমা, ৮টি ব্লক এবং ৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতসহ মোট ১৭৩টি পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কাউন্সিল রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অনুদানে জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে চন্দ্রপুর কলোনিতে শ্মশান, ইচাছড়ায় শৌচালয়, কুঞ্জবন ও গর্জীতে পানীয়জলের ট্যাংক এবং ইন্দিরানগরে কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে—যাতে ব্যয় হয়েছে ১৬ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা। চলতি অর্থবর্ষে টাইড ও আনটাইড খাতে বরাদ্দ ৬২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার মধ্যে ৫০ লক্ষ ৩ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই ব্যয় করা হয়েছে।
এছাড়া নানাজি দেশমুখ সর্বোত্তম পঞ্চায়েত সতত বিকাশ পুরস্কার হিসেবে কেন্দ্র সরকার গোমতী জেলাকে ৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে। ওই অর্থ দিয়ে জিলা পরিষদ অফিস ও কনফারেন্স হল সংস্কার (২৫ লক্ষ), ৬০টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনুদান (১ কোটি ৮০ লক্ষ), ৭২৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ (২৭ লক্ষ), ৭টি পঞ্চায়েত অফিসের আধুনিকীকরণ (১ কোটি ৪০ লক্ষ) এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে ১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মডেল ভিলেজ প্রকল্পের আওতায় জেলার ৮টি ব্লকের ১৪টি পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কাউন্সিলকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য মোট ১৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।
এই পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, জেলাশাসক রিঙ্কু লাথার, পঞ্চায়েত দফতরের অধিকর্তা প্রসূন দে, জেলার আট ব্লকের বিডিও এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ