পরিস্রুত পানীয় জলের সরবরাহে সুষ্ঠু নীতি গ্রহণে সরকারের অঙ্গীকার : মুখ্যমন্ত্রী
আগরতলা, ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরার প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন পানীয় জল সরবরাহে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। সোমবার সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দফতরের পর্যালোচনা সভা
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা


আগরতলা, ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরার প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন পানীয় জল সরবরাহে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। সোমবার সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দফতরের পর্যালোচনা সভায় তিনি বলেন, রাজ্যের জনগণ যাতে কোনও অবস্থাতেই তাদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে সরকার সর্বদা সতর্ক রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, গ্রাম ও শহর— উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিটি ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া রাজ্য সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এজন্য জনপ্রতিনিধি ও দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পাশাপাশি জলের অপচয় রোধেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে গঠিত রাজ্যের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সর্বত্র জলের স্তর এক নয়। তাই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা পানীয় হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দফতরের আধিকারিকদের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জলের গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী অমৃত সরোবর প্রকল্প চালু করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সভায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ.কে. দাস জানান, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছর পর্যন্ত রাজ্যের ৬,২২,২৫৮টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগগুলি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইনে পাওয়া ১,৮১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১,৮১৩টির নিষ্পত্তি ইতিমধ্যেই হয়েছে।

এছাড়া ‘আমার সরকার’ পোর্টালের মাধ্যমে উত্থাপিত ৬২,১৭৪টি সমস্যার মধ্যে ৬০,৬৬২টির সমাধান করা হয়েছে বলেও এ. কে.দাস জানান। বাকি সমস্যাগুলিরও দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।

সভায় পূর্ত দফতরের সচিব অভিষেক সিং, কৃষি দফতরের সচিব অপূর্ব রায়সহ দফতরের সুপারিনটেন্ডিং ও এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande