
কাকদ্বীপ, ১৯ নভেম্বর ( হি. স.): বাংলাদেশে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম গঙ্গাধরপুরের বাসিন্দা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবুল দাসের। পেশায় তিনি মৎস্যজীবী ছিলেন। মা মঙ্গলচণ্ডী ট্রলারে করে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর পরিবার জানতে পারে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশ উপকূল রক্ষী বাহিনী তাকে এবং আরও কয়েকজন মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টা পরেও কাকদ্বীপের জেলে বাবুল দাসের দেহ বাড়িতে না পৌঁছানোয় গভীর উদ্বেগে তাঁর পরিবার।
পরিবারের সঙ্গে বাবুলের যোগাযোগ তখনই সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন দিন আগে পরিবারের কাছে খবর আসে—বাংলাদেশের একটি কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ বছরের বাবলুর। কিন্তু এরপরও তাঁর দেহ ফেরত না আসায় পরিবারের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। পরিবারের অভিযোগ, বোবা ও বধির বাবুলকে কারাগারে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা মৎস্য সমিতি ও প্রশাসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর দেহ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবুও চার দিন পেরিয়ে গেলেও বাবুল দাসের দেহ এখনও বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের আক্ষেপ—“শেষবার অন্তত ছেলের মুখটাও দেখতে পারছি না।”
হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়