উমরাংসোতে সিমেন্ট উদ্যোগ : জমি বরাদ্দ সম্পর্কে গৌহাটি হাইকোর্টে এজির শপথনামা সঠিক নয়, দাবি সমরজিতের
হাফলং (অসম), ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার অন্তৰ্গত উমরাংসো থানাধীন লংকুক্রো গ্রামে নতুন সিমেন্ট উদ্যোগ স্থাপনের জন্য যে তিন হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ, এ নিয়ে বর্তমানে গৌহাটি হাইকোর্টে এক মামলা চলছে জাস
সাংবাদিক সম্মেলনে পার্বত্য পরিষদের প্রাক্তন সিইএম সমরজিৎ হাফলংবার


হাফলং (অসম), ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার অন্তৰ্গত উমরাংসো থানাধীন লংকুক্রো গ্রামে নতুন সিমেন্ট উদ্যোগ স্থাপনের জন্য যে তিন হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ, এ নিয়ে বর্তমানে গৌহাটি হাইকোর্টে এক মামলা চলছে জাস্টিস সঞ্জয় মেধির বেঞ্চে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল দেবজিৎ শইকিয়া এক হলফনামা দাখিল করেছেন যে ১৯৯৮-৯৯ সালে উমরাংসোতে জেলা ইন্ড্রাস্ট্রি দফতরকে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ কর্তৃপক্ষ ছয় হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে, সেই জমি এখন খালি পড়ে রয়েছে। তাই বর্তমানে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ এই ছয় হাজার বিঘা খালি জমি থেকে তিন হাজার বিঘা জমি সিমেন্ট উদ্যোগ স্থাপনের জন্য তিন হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে।

আজ বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রাক্তন বিধায়ক তথা পার্বত্য পরিষদের প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য সমরজিৎ হাফলংবার বলেন, ১৯৯৮-৯৯ সালে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ কর্তৃপক্ষ জেলা ইন্ড্রাস্ট্রি বিভাগকে ছয় হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ করে নি। কারণ ওই সময় উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে এসএসডিসি ক্ষমতায় ছিল এবং সে সময় পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন প্রকান্ত ওয়ারিশা। পার্বত্য পরিষদের ভূমি ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন মহেন্দ্রচন্দ্র নুনিসা। তিনি (সমরজিৎ হাফলংবার) ছিলেন বিধায়ক ও পার্বত্য পরিষদের সদস্য এবং সে সময় পার্বত্য পরিষদ কোনও জমি বরাদ্দ করেনি।

গুয়াহাটি হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল দেবজিৎ শইকিয়া যে শপথনামা গৌহাটি হাইকোর্টে দাখিল করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সমরজিৎ হাফলংবার। তিনি বলেন, ১৯৯৮-৯৯ সালে পার্বত্য পরিষদের পক্ষ থেকে ছয় হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ করা হয়েছে ওই নির্দেশে ভূমি রাজস্ব বিভাগের তৎতকালীন সচিব স্বাক্ষর করেছেন ১৯৯৮ সালে। কিন্তু জেলা ইন্ড্রাস্ট্ৰি বিভাগকে জমি বরাদ্দ করার নির্দেশ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করা হয় ১৯৯৭ সালে। তিনি বলেন ইতিমধ্যে জেলা ইন্ড্রাস্ট্ৰি বিভাগ এক আরটিআই-এর জবাবে জানিয়েছে, ১৯৯৮-৯৯ সালে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ ইন্ড্রাস্ট্ৰি বিভাগকে ছয় হাজার বিঘা জমি বরাদ্দ করেনি। উমরাংসোতে ইন্ড্রাস্ট্ৰি বিভাগের ৮০০ বিঘা জমি রয়েছে। আর এই জমি ১৯৮৬ সালে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ বরাদ্দ করেছিল।

তাই জমি বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে যে অনিয়ম হয়েছে তার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সমরজিৎ। জমি বরাদ্দের ইস্যুতে পরিষদের যে সব আধিকারিক জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে সমরজিৎ বলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা গৌহাটি হাইকোর্টে এক হলফনামা দাখিল করেছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande