গণ্ডাছড়ায় পরিত্যক্ত পুকুর থেকে নিখোঁজ নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার
গণ্ডাছড়া (ত্রিপুরা), ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমায় পর পর নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রায় দেড় মাস আগে হরিপুরের বারোকার্ড গ্রামের বাসিন্দা সূর্যমোহন দাস নিখোঁজ হওয়ার পরও যখন তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ, ঠিক তখনই নতুন কর
মৃতদেহ উদ্ধার


গণ্ডাছড়া (ত্রিপুরা), ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমায় পর পর নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রায় দেড় মাস আগে হরিপুরের বারোকার্ড গ্রামের বাসিন্দা সূর্যমোহন দাস নিখোঁজ হওয়ার পরও যখন তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ, ঠিক তখনই নতুন করে আবার এক নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

ডিএনবিআই ইটভাট্টার শ্রমিক মিঠুন মাঝির বধির ও ভবঘুরে স্বভাবের ছেলে, বছর ষোলোর করণ মাঝি সোমবার ভাট্টা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও সন্ধান না মিললে মঙ্গলবার গণ্ডাছড়া থানায় নিখোঁজ ডাইরি লিপিবদ্ধ করেন তার বাবা এবং ভাট্টা মালিক পক্ষ।

এরপর বুধবার সকালে গণ্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা স্কুলে এসে দেখেন—বিদ্যালয়ের পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুরের মাঝখানে ভেসে আছে একটি মৃতদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। উপস্থিত ছিলেন ইটভাট্টার মালিক তপন সাহা, তিনি প্রথমে মৃতদেহটিকে শনাক্ত করেন। পরে নাবালকের বাবা মিঠুন মাঝিও এসে এ মৃতদেহ যে তাঁর ছেলের, তা নিশ্চিত করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে। বিদ্যালয়ের চারপাশে পাকা বাউন্ডারী এবং নাইটগার্ড থাকার পরও কীভাবে করণ মাঝি স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করল ও পুকুরে পৌঁছল—তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande