
কলকাতা, ২১ নভেম্বর (হি.স.): কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭। পরবর্তী প্রভাবের আশঙ্কায় কিছু এলাকার বহুতল থেকে আতঙ্কগ্রস্ত কিছু বাসিন্দা নিচে রাস্তায় নেমে আসেন।
সূত্রের খবর, ভূকম্পের উৎসস্থল বাংলাদেশে নরসিংদি থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে টুঙ্গি এলাকায়, ভূগর্ভের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে মায়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। ভারতীয় সময় সকাল ১০টা ৮ মিনিটে এক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতায় বিভিন্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়।
সল্ট লেক ও হুগলি, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ
বিভিন্ন জেলায় অনুভূত হয় এই ভূকম্পন। সার্ভে পার্কের বাসিন্দা মৌসুমী সেনগুপ্ত হঠাৎ
বলেন, “এই এই চেয়ার কাঁপছে। ভূমিকম্প হচ্ছে!” পাশে বসা তাঁর স্বামীও বলেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ”। একটু ব্যবধানের একটি ঘর থেকে দ্রুত বেড়িয়ে এসে তাঁদের পুত্র তাতাই বলেন, “ভূমিকম্প হচ্ছে!” শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট—বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভূকম্পের খবর আসতে থাকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতীম বিশ্বাস প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কলকাতার মতো ঘনবসতির এবং বহুতল-সমৃদ্ধ অঞ্চলে এই ভূমিকম্প যথেষ্ট চিন্তার। এটা একটা বার্তা দিয়ে গেল। জলাজমি বুঁজিয়ে যেভাবে একের পর এক উঁচু বাড়ি তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা একটা বিপদসঙ্কেত জানিয়ে গেল। নরম মাটির শহরে বিপর্যয় হলে সম্পত্তিহানির সঙ্গে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত