
আগরতলা, ২১ নভেম্বর (হি.স.) : আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে কোনও মেধা যাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরা সরকার সিএম-সাথ (মুখ্যমন্ত্রী স্কলারশিপ ফর অ্যাচিভারস টুয়ার্ডস হায়ার লার্নিং) প্রকল্প চালু করেছে। শুক্রবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত সিএম-সাথ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের আস্থা অর্জনই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। সরকারের প্রতিশ্রুতিমূলক কাজগুলিকে বাস্তবে রূপ দিতে লাগাতার উদ্যোগ চলছে। তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্পে সমস্ত সমস্যা একদিনে সমাধান না হলেও, উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ যোগাবে এবং প্রতিযোগিতার মানসিকতা গড়ে তুলবে।”
শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, শিক্ষাই মানবজাতির প্রকৃত শক্তি এবং আত্মনির্ভরতার মূল উৎস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, যুবসমাজই ভারতের ভবিষ্যৎ। সেই উদ্দেশ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করে দক্ষতা, উদ্ভাবন, মহিলা স্বশক্তিকরণ ও দেশপ্রেমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে শিক্ষা কাঠামো উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী নিপুণ ত্রিপুরা, বিদ্যাসেতু মডিউল, মিশন মুকুল, পিএম পোষণ, আইপ্যাড ও সাইকেল বিতরণ, পিএম-শ্রী স্কুল, নতুন কলেজ স্থাপন এবং আইআইআইটি প্রতিষ্ঠার মতো একাধিক প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ত্রিপুরাকে এডুকেশন হাব হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের অধিকর্তা এন.সি. শর্মা। বিশেষ বক্তৃতা করেন শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তা রাজীব দত্ত এবং এসসিইআরটি অধিকর্তা এল ডার্লং।
উল্লেখ্য, সারা রাজ্যের ২০০ নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে এদিন প্রতীকীভাবে ৩২ জনের হাতে রেপ্লিকা চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ