“উন্নয়নকে আটকানোর রাজনীতির বিরুদ্ধে....”, সরব শমীক ভট্টাচার্য
কলকাতা, ২১ নভেম্বর (হি.স.) : “সময়ের দাবি স্পষ্ট— জনগণ উন্নয়ন চায়, আর উন্নয়নকে আটকানোর রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষের আওয়াজ আরও জোরালো হবে।” শনিবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখলেন বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, “কলকাতার মানুষ
শমীক ভট্টাচার্য


কলকাতা, ২১ নভেম্বর (হি.স.) : “সময়ের দাবি স্পষ্ট— জনগণ উন্নয়ন চায়, আর উন্নয়নকে আটকানোর রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষের আওয়াজ আরও জোরালো হবে।” শনিবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখলেন বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

তিনি লিখেছেন, “কলকাতার মানুষ আজ একটাই কথা বলছে— ‘আমাদের দোষ কী? কেন আমাদের যাতায়াতের স্বপ্ন রাজনৈতিক স্বার্থে আটকে থাকবে?’

মোদী সরকারের আগে মেট্রো মানেই ছিল অপেক্ষা, আর অনিশ্চয়তা। বছরের পর বছর কাগজে কাজ এগোলেও বাস্তবে খুব বেশি কিছু চোখে পড়ত না। কিন্তু মোদী সরকার আসার পর পরিস্থিতি বদলে গেল।

এক এক করে মেট্রোর লাইন জীবন্ত হতে শুরু করল— জোকা–তারাতলা পরিষেবা চালু হয়েছে, ইস্ট–ওয়েস্ট টানেলের কাজ এগিয়েছে, নিউ গড়িয়া–রুবির বড় অংশ শেষ— এটাই উন্নয়নের গতি, যখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে। কিন্তু আজ শহরের মানুষ যে কষ্টটা পাচ্ছে, তার জন্য দায় কে নেবে?

পুরো প্রকল্প প্রায় শেষ। কেবল চিঙড়িঘাটা ফ্লাইওভার সংলগ্ন মাত্র ৩৬৬ মিটার পথের অনুমতি প্রয়োজন— এবং সেখানেই রাজ্য সরকারের অজুহাতের দেওয়াল। কখনও অনুষ্ঠান, কখনও ম্যারাথন, কখনও ‘এখন নয়’— মানুষের সুবিধা নয়, রাজনৈতিক হিসেবকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

জনগণের ক্ষোভ তাই একেবারেই স্বাভাবিক—

দিনের পর দিন ট্রাফিকে দাঁড়িয়ে থাকা,

স্কুল–কলেজ–অফিসে দেরি, ব্যস্ত চিঙড়িঘাটা মোড়সহ পুরো পূর্ব কলকাতার অকারণ ভিড়—

সবকিছুরই সমাধান ছিল মেট্রো। কিন্তু সেই সমাধান আজ রাজ্যের সিদ্ধান্তহীনতার ফাঁদে বন্দি।

মানুষ আজ বুঝে গেছে— মোদী সরকার উন্নয়ন সম্পূর্ণ করেছে, কিন্তু রাজ্যের অসহযোগিতা প্রকল্প আটকে যাচ্ছে।কলকাতার মানুষ তাই প্রশ্ন করছে—

‘উন্নয়ন কি আমাদের অধিকার নয়?

শেষের কয়েকশো মিটারের জন্য আমরা আর কত বছর অপেক্ষা করব?’

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande