মৃতদেহ থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মর্গে চাঞ্চল্য
জলপাইগুড়ি, ২৫ নভেম্বর (হি.স.): জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃতের শরীর থেকে উধাও সমস্ত সোনার গয়না! যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে সেখানে। কীভাবে হাসপাতালের মর্গ থে
মৃতদেহ থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মর্গে চাঞ্চল্য


জলপাইগুড়ি, ২৫ নভেম্বর (হি.স.): জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃতের শরীর থেকে উধাও সমস্ত সোনার গয়না! যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে সেখানে।

কীভাবে হাসপাতালের মর্গ থেকে এভাবে গয়না চুরি হল, সেই প্রশ্ন তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পরিবার। কোতয়ালি থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃতের আত্মীয়রা স্পষ্ট জানিয়েছেন, গয়না চুরির কিনার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ফিরিয়ে নেবেন না।

ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মরিচবাড়ির বাসিন্দা মনখুশি বাউলি। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে সোমবার রাতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন আত্মীয়রা। রাতেই হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দেহ রাখা হয় মর্গে।

অভিযোগ, সকালে হাসপাতালে পৌঁছে পরিবারের সদস্যরা মর্গে দেহ দেখতে চান। জানানো হয়, এত সকালে মর্গ খুলবে না। তাঁরা হাসপাতালে অপেক্ষা করেন। সকাল ৯টা নাগাদ মর্গ থেকে দেহ ফেরাতে গিয়ে দেখেন, মৃত মনখুশিদেবীর শরীরে একটি গয়নাও নেই। কীভাবে এমনটা হল, সেই প্রশ্ন তুলে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু এনিয়ে অন্ধকারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

শোরগোল তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। মৃতের ছেলে পলাশ বাউলি, নাতনি পূর্ণিমা রায়দের অভিযোগ, মৃতদেহ আনতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, শরীর থেকে সমস্ত সোনার গয়না উধাও। গলার হার, লকেট, কানের দুল, নাকছাবি – সব মিলিয়ে প্রায় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে। কোতয়ালি থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, গয়না ফেরত না পেলে মৃতদেহও নিয়ে যাবেন না তাঁরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তারা সহযোগিতা করবে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের শরীর থেকে কীভাবে গয়না খোয়া গেল, তাতে সুরক্ষা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande