
কলকাতা, ৫ নভেম্বর, (হি.স.): ‘বন্দে মাতরম’-এর বিরোধিতায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের রাজনীতির সংপৃক্ততার উল্লেখ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
বুধবার সাংবাদিকদের ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বর্ষের কথা জানাতে গিয়ে শমীকবাবু বলেন, যে ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি নিয়ে বহু বিপ্লবী ফাঁসির দড়ি নিজের গলায় তুলে নিয়েছিলেন, যে ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনির জন্য মাতঙ্গিনী হাজরারা নিজের বুকে গুলি টেনে নিয়েছিলেন সেই ‘বন্দে মাতরম’-এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস পথে নেমেছিল দিল্লিতে।
তারা বলেছিল এই গান মুসলিমদের পক্ষে গাওয়া সম্ভব নয়। যখন কংগ্রেস দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল নামালো, তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল। তিনি প্রতিবাদ করতে পারতেন, কিন্তু তা তিনি করেননি।
শমীকবাবু বলেন, আমরা গর্বিত যে ‘বন্দে মাতরম’ আমাদের বাংলার মাটিতে লেখা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে সৌগত রায় বলেছিলেন ‘বন্দে মাতরম’ এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা আছে।
তৎকালীন বাম জামানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন তাঁর ভাবলে আশ্চর্য লাগে কিভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক আনন্দমঠের মত উপন্যাস লিখেছিলেন।
‘বন্দে মাতরম’ ভারতবর্ষের সমস্ত প্রান্তের, সমস্ত ভাষার ব্যবধানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল আজ সেই ‘বন্দে মাতরম’-এর বিরুদ্ধে যখন রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিবাদ জানায় তখন তো অত্যন্ত লজ্জার।
“আনন্দমঠের ইতিহাস এই প্রজন্মের জানা দরকার এবং সেই সঙ্গে বন্দে মাতরম এর মধ্যে দিয়ে ভারত-আত্মা, ভারতীয় সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের যে প্রতিধ্বনি হয়েছে তার সৃষ্টিকাল, যাত্রা সম্পর্কে জানা দরকার।”
শমীকবাবু জানান, “তাই সারা বছর ব্যাপী আমরা নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে
“বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন করব।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত