বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড গুয়াহাটির অভিজাত এলাকায়, ভস্ম শপিং মল ‘সোহাম এম্পোরিয়া’ সহ এসবিআই-এর কয়েকটি শাখা
গুয়াহাটি, ১০ ডিসেম্বর (হি.স.) : বিধ্বংসী আগুনে ভস্ম হয়ে গেছে গুয়াহাটির অভিজাত এলাকা খ্রিস্টানবস্তিতে অবস্থিত শপিং মল ‘সোহাম এম্পরিয়া’ সহ ভারতীয় স্টেট ব্যাংক (এসবিআই)-এর কয়েকটি শাখা। অগ্নিকাণ্ডে বহু কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সহ পুড়ে গেছে স্টেট ব্যাংকের
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড গুয়াহাটির ‘সোহাম এম্পোরিয়া’ সহ এসবিআই-এর কয়েকটি শাখায়


গুয়াহাটি, ১০ ডিসেম্বর (হি.স.) : বিধ্বংসী আগুনে ভস্ম হয়ে গেছে গুয়াহাটির অভিজাত এলাকা খ্রিস্টানবস্তিতে অবস্থিত শপিং মল ‘সোহাম এম্পরিয়া’ সহ ভারতীয় স্টেট ব্যাংক (এসবিআই)-এর কয়েকটি শাখা। অগ্নিকাণ্ডে বহু কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সহ পুড়ে গেছে স্টেট ব্যাংকের লকারে আমানতকারীদের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকার সোনার গয়না। আগুনের করাল গ্রাসে পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ভবনের তিনটি তলা। আগুন নেভাতে গুয়াহাটি সহ পার্শ্ববর্তী মরিগাঁও, কামরূপ জেলা এবং মেঘালয় থেকে আগত প্রায় ৩০টি ইঞ্জিন নিয়ে ঝাঁপিয়েছেন অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর জওয়ানরা। এ খবর লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছে। তবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর নেই। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও অস্পষ্ট।

প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, গতকাল মঙ্গল এবং আজ বুধবার মধ্যরাত প্রায় ১২:০০টা নাগাদ আগুনের সূত্রপাত গুয়াহাটির খ্রিস্টান বস্তিতে ছয়তল বিশিষ্ট এম্পোরিয়া শপিং কমপ্লেক্স বিল্ডিঙে। এই বিল্ডিঙে রয়েছে এসবিআই-এর গণেশগুড়ি সহ ছয়টি শাখা এবং দফতর। ঘটনার খবর পেয়ে বেশ কয়েকজন প্ৰশাসনিক পদস্থ আধিকারিক এবং গুয়াহাটি মেট্রোর ১৯টি ইঞ্জিন নিয়ে ছুটে যান দমকল কর্মীরা। কিন্তু ঘটনাস্থলে তাঁদের পৌঁছনোর আগেই গোটা বিল্ডিংকে গ্রাস করে ফেলে আগুনের লেলিহান শিখা।

ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বিল্ডিঙের আশপাশ এলাকা সহ লাগোয়া প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর রাজীব ভবন। প্রবল ধোঁয়ার জেরে বিল্ডিংটি কার্যত ‘গ্যাসচেম্বার’-এ পরিণত হয়। ফলে বিল্ডিং-এর কোনও তলায় যেতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। মই দিয়ে তাঁরা বিল্ডিংটির চারিদিকে অবস্থান করে অগ্নিশিখার সঙ্গে সারারাত নিরলসভাবে লড়াই করেন। সকাল প্রায় সাতটার দিকে আগুন প্রায় নিভিয়ে ফেলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল।

কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে দ্বিতল, ত্রিতল থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে ধোয়া সহ আগুনের গোলা। কোনও ভাবে আগুন নিয়ন্ত্ৰণে আনা যাচ্ছে না দেখে ডেকে পাঠানো হয় পাৰ্শ্ববৰ্তী দুই জেলা মরিগাঁও এবং কামরূপ থেকে দমকল তথা এসডিআরএফকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি ইঞ্জিন নিয়ে মেঘালয় থেকে ছুটে আসে দমকল বাহিনী।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনৈক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ভয়াবহ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়, তবে কয়েক কোটি টাকা হতে পারে। আগুনের সূত্রপাত এখনও অজ্ঞাত। এর তদন্ত হবে।

এদিকে এসবিআই কর্তৃপক্ষের ধারণা, ভয়াবহ আগুনে গ্ৰাহকদের তথ্য নষ্ট হয়নি। কেননা ডিজিটাইজ-এর ফলে আমানতকারী তথা গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত থাকতে পারে। তবে কয়েকটি লকারে মজুত গ্রাহকদের সোনার গয়না এবং কিছু জরুরি দলিল পুড়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণভাবে আগুন নিভে গেলে ভিতরে গিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে, কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande