
হুগলি, ১০ ডিসেম্বর (হি.স.): মাস ছয় আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন একই পরিবারের তিন জন। সেই সময়ে বাবা মা হাসপাতালে মারা গেলেও, প্রাণে বেঁচ গিয়েছিলেন মেয়ে। এ বার বাড়ির মধ্যেই অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু হলো মেয়ের।
বুধবার সকালে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, জুন মাসের ৬ তারিখে বৈদ্যপোতা এলাকার বাসিন্দা একেন্দ্রনাথ দাস (৮৭), সুনীতা দাস (৮৩) এবং শর্মিষ্ঠা দাস (৪৩) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময়ে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের জন্য মৃত্যু হয়েছিল একেন্দ্রনাথ এবং সুনীতার। একটু সুস্থ হয়ে মেয়ে শর্মিষ্ঠা জানিয়েছিলেন আর্থিক অনটনের কারণে সংসার চালাতে না পেরে পরিবারের সকলে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
সূত্রের খবর, এক সময়ে কয়লার ব্যবসা ছিল তাঁদের। সচ্ছল ছিল আর্থিক অবস্থা। কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হয়। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে স্থানীয়রাই দেখাশোনা করতেন শর্মিষ্ঠাকে। তাঁরাই দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু গত দু’দিন ধরে তাঁকে কোথাও দেখতে পাননি স্থানীয়রা। এক বাসিন্দার কথায়, খাবার দিলেও তা খাননি শর্মিষ্ঠা। এর পরে বুধবার সকালে খোলা জানলার ফাঁক দিয়ে শর্মিষ্ঠাকে মৃত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ঘর থেকে দুর্গন্ধও পান স্থানীয়রা।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত