
নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.): সংখ্যালঘু আইন ১৯৯২ –এর মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের আওতায় প্রজ্ঞাপিত পার্সি জনগোষ্ঠী। এদের জনসংখ্যা ১৯৪১-এর জনগণনা অনুযায়ী ছিল ১,১৪,০০০। ২০১১-র জনগণনায় তা কমে হয়েছে ৫৭,২৬৪। পার্সি জনসংখ্যায় হ্রাস রুখতে ২০১৩-১৪ সালে সংখ্যালঘু মন্ত্রক জিও পার্সি কর্মসূচির সূচনা করে।
এই কর্মসূচির আওতায় বন্ধ্যাত্ব, গর্ভধারণ ও নবজাতকের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলায় পার্সি দম্পতিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পরিবারের বার্ষিক আয় ৩০ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকলে এই সহায়তা পাওয়া যায়।
যেসব পার্সি পরিবারের বার্ষিক আয় ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে তাঁরা শিশুদের ও পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের পরিচর্যার জন্যও আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন সরকারের কাছ থেকে। এই প্রকল্পের সম্পর্কে সচেতনতার প্রসারেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রাপকের কাছে পৌঁছে যায় সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর প্রণালীর মাধ্যমে। এর আগে জৈবমাত্রিক যাচাই এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় যাচাইয়ের কাজ হয়।
বিগত ৫ বছরে (২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫) এ বাবদ ১৭.৬৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ২৩২ টি শিশু জন্ম নিয়েছে।
২০২৫- এ এই প্রকল্পের মূল্যায়ণের কাজ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস। তাতে দেখা যাচ্ছে প্রকল্পটির সুবিধা পৌঁছচ্ছে যোগ্য প্রাপকদের কাছেই। পার্সিরা সাধুবাদ জানাচ্ছেন এই প্রকল্পকে। পরবর্তী অর্থ কমিশনের সময়কালেও প্রকল্পটি চলবে।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
বুধবার এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো|
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ