বিশ্ব মৎস্য দিবস: লোকসভায় তথ্য পেশ লালন সিংয়ের
নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.): মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে ভারত সরকারের মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রকের অধীন মৎস্য দফতর ২০১৫-১৬ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে নীল বিপ্লব, মৎস্য ও জলজ কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল, প্রধানমন্
সংসদ


নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.): মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে ভারত সরকারের মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রকের অধীন মৎস্য দফতর ২০১৫-১৬ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে নীল বিপ্লব, মৎস্য ও জলজ কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সমৃদ্ধি শাহ যোজনা প্রভৃতি রয়েছে। এই ক্ষেত্রে মোট ৩৮ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এইসব প্রকল্প ও সুচিন্তিত নীতির সুবাদে বার্ষিক মৎস্য উৎপাদন ২০১৩-১৪ সালে ৯৫.৭৯ লক্ষ টন থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ১৯৫ লক্ষ টন হয়েছে। বৃদ্ধির হার ১০৩ শতাংশ। সামুদ্রিক খাবারের রপ্তানির পরিমাণ ২০১৪-১৫ সালের ৩০ হাজার ২১৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ৬২ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা হয়েছে। বৃদ্ধির হার ১০৭ শতাংশ। মূল্যযুক্ত পণ্যের ভাগ ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১১ শতাংশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মৎস্য দফতর ২১২৭৪.১৬ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগ ৯১৮৯.৭৯ কোটি টাকা। মৎস্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা বাড়াতে উন্নতমানের মৎস্য উৎপাদন, জলজ কৃষির উৎপাদন পদ্ধতির প্রসার, বৈচিত্রকরণ ও প্রগাঢ়তা বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী প্রজাতির প্রসার, প্রযুক্তির প্রয়োগ, রোগ নির্মূলের পদক্ষেপ, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলন পরবর্তী আধুনিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে হিম ঘর, আধুনিক মৎস্য বন্দর, মৎস্য কেন্দ্র প্রভৃতি গড়ে তোলা হয়েছে। গত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা, মৎস্য ও জলজ কৃষি ক্ষেত্রের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বার্ষিক মৎস্য উৎপাদন ২০১৯-২০ সালের ১৪১.৬৪ লক্ষ টন থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে হয়েছে ১৯৫ লক্ষ টন। বৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ। মৎস্য রপ্তানির পরিমাণ ২০১৯-২০ সালে ৪৬৬৬২.৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে হয়েছে ৬২ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। বৃ্দ্ধির হার ৬৪ শতাংশ।

এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশ্ব মৎস্য দিবসে মৎস্য ক্ষেত্র ও জলজ কৃষি ক্ষেত্র চিহ্নিত করার লক্ষ্যে জাতীয় কাঠামো প্রকাশ করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হল মৎস্য ক্ষেত্র ও জলজ কৃষি ক্ষেত্রে মূল্যশৃঙ্খল গড়ে তোলা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান যাতে বজায় থাকে সেজন্য নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, খাদ্য নিরাপত্তা ও গুণমান নিশ্চিত করা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করে ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি, বাজারকে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও কৃষকদের নাগালের মধ্যে এনে দেওয়া প্রভৃতি।

এই কাঠামোর আওতায় একটি জাতীয় স্তরের পরিচালন কমিটি গড়ে তোলার সংস্থান রয়েছে। এটি শীর্ষ সংস্থা হিসেবে কৌশলগত বিষয়গুলি দেখবে, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে এবং এই কাঠামোর কার্যকর বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করবে। এই শীর্ষ সংস্থার অধীনে একটি কমিটি গড়ে তোলা হবে, যারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে বিশেষত ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের ডিজিটাল চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা করবে।

লোকসভায় এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রী রাজীবরঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং এই তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো|

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande