
নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.): সংবিধানের সপ্তম তফশিল অনুযায়ী পুলিশ এবং জনশৃঙ্খলার বিষয়টি রাজ্যের আওতাধীন। তবে বাম উগ্রপন্থার মোকাবিলায় রাজ্যগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত সরকার। এই সমস্যা দূর করতে ২০১৫ সালে সর্বাত্মক জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর আওতায় বহুমাত্রিক এবং বহুক্ষেত্রিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। হিংসাত্মক ঘটনার সংখ্যা ২০১০-এর ১,৯৩৬ থেকে ৮৯ শতাংশ কমে ২০২৫ সালে ২২২ –এ দাঁড়িয়েছে। সাধারণ নাগরিক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যাও ২০১০-এর ১,০০৫ থেকে কমে ২০২৫-এ দাঁড়িয়েছে ৯৫ –এ। বাম উগ্রপন্থা প্রভাবিত জেলার সংখ্যাও ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০২৫-এর অক্টোবরে মাত্র ১১টি জেলা বাম উগ্রপন্থা প্রভাবিত বলে চিহ্নিত। এরই মধ্যে এখন মাত্র ৩ টি জেলা এই সমস্যায় বেশি দীর্ণ বলে সরকার জানিয়েছে।
জনজাতি প্রধান এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নমূলক উদ্যোগ নকশালপন্থার মূলে আঘাত হেনেছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও নিরন্তর সক্রিয়।
বাম উগ্রপন্থার মোকাবিলায় নিরাপত্তা কাঠামো জোরদার করতে রাজ্যগুলিকে ধারাবাহিকভাবে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। নকশালপন্থীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওই সব অঞ্চলে সড়ক এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাপনাকেও জোরদার করা হয়েছে।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
বুধবার এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো|
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ