সংঘকে দেখে বোঝা সম্ভব নয়, অনুভব করতে হবে: মোহন ভাগবত
কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.): সংঘকে দেখে বোঝা সম্ভব নয়; অনুভব করতে হবে। একথাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত| রবিবার কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংঘের ১০০ বছর - নতুন দিগন্ত বক্তৃতামালার প্রথম ভাগে
সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত


কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.): সংঘকে দেখে বোঝা সম্ভব নয়; অনুভব করতে হবে। একথাই বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত| রবিবার কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংঘের ১০০ বছর - নতুন দিগন্ত বক্তৃতামালার প্রথম ভাগে ভাষণ দেওয়ার সময় এই কথা বলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, সংঘের নাম সমগ্র বিশ্ব জানে, কিন্তু এর কাজ সম্পর্কে সঠিক ব্যক্তিদের ঠিকঠাক ধারণা নেই। এমনকি সংঘের শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও এর কাজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা নেই। তিনি বলেন, মানুষ প্রায়শই বিজেপির মাধ্যমে সংঘকে দেখার চেষ্টা করে, কিন্তু এটা ভুল। তিনি বলেন, আজ সংঘ দেশজুড়ে বহু প্রকল্পের মাধ্যমে দেশ ও সমাজের উন্নতিসাধনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সংঘকে বুঝতে হলে, সংঘ সম্পর্কে নিজস্ব মতামত দূরে সরিয়ে রেখে এটিকে অনুভব করতে হবে।

আরএসএস প্রতিষ্ঠার পটভূমি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরএসএস কোনও পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বা কারওর বিরোধিতা করার জন্য অথবা কারওর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য গড়ে ওঠেনি। হিন্দু সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য এটি গঠিত হয়েছিল। মোহন ভাগবত বলেন যে, সেইসময়ে দেশের পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিলনা। দেশ একের পর এক বহিরাগত আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছিল। ব্রিটিশদের আগেও আমরা দাসত্বের যন্ত্রণা ভোগ করেছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছিল।

সমাজের আচার-আচরণের গুণগতমান উন্নত করার জন্য, সারা দেশে কার্যকর্তাদের তৈরি করার প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছিল। তিনি বলেন যে, হিন্দু কেবল একটি নাম নয়, বরং এটি একটি বিশেষণ, যা সর্বজনীন এবং সকলের কল্যাণ কামনা করে। যারাই ভারতকে তাদের মা হিসেবে পূজা করে, তারাই হিন্দু। তাদের ধর্ম বা ভাষা এদেশের হোক বা বিদেশি, যারা এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে, মাতৃভূমিকে সম্মান করে, তারাই হিন্দু। এই মাতৃভূমিতে বসবাসকারী মানুষের ডিএনএ ৪০ হাজার বছরব্যাপী একই। সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার জন্য সংঘের পদ্ধতি অনন্য| সংঘের স্বয়ংসেবকরা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছেন। সংঘ সকলকে ভালো কাজের জন্য সাহায্য করে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande