রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে আইনে পরিণত ‘জি রাম জি’ বিল
নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশের পর এবার ‘জি রাম জি’ বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু। যার জেরে আইনে পরিণত হল ‘জি রাম জি’। শুরু থেকেই এই বিলের প্রতিবাদে মুখর ছিল বিরোধী শিবির। যদিও তাঁদের সে আপত্তি ধোপে টিকল না।
রাষ্ট্রপতি


নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশের পর এবার ‘জি রাম জি’ বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু। যার জেরে আইনে পরিণত হল ‘জি রাম জি’। শুরু থেকেই এই বিলের প্রতিবাদে মুখর ছিল বিরোধী শিবির। যদিও তাঁদের সে আপত্তি ধোপে টিকল না।

রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে, বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষ পূর্বে বিলটি পাস করেছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন এখন বাস্তবায়িত হয়েছে। নতুন আইনের অধীনে, গ্রামীণ পরিবারগুলিকে প্রতি আর্থিক বছরে ১২৫ দিনের বিধিবদ্ধ মজুরি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে, যা আগের ১০০ দিনের চেয়ে বেশি।

‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট’ বা ‘মনরেগা’। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের এই আইনেই এ বার বদল আনছে কেন্দ্র। নতুন আইনের নামকরণ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি তুলছে বিরোধীরা। অভিযোগ, কৌশলে নতুন আইন থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম বদলে ফেলা হচ্ছে। নতুন প্রকল্পের আইনের নাম দেওয়া হয়েছে, বিকশিত ভারত-গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ)। সংক্ষেপে জিরামজি।

নতুন আইনে প্রতি অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজকে বৃদ্ধি করে ১২৫ দিন করার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’-এর ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে গ্রামোন্নয়নের পরিকাঠামো তৈরি করাই নতুন প্রকল্পের লক্ষ্য।

আইনের বিধান অনুসারে, ইচ্ছুক গ্রামীণ পরিবারগুলিকে ন্যূনতম ১২৫ দিনের কর্মসংস্থান প্রদান করা সরকারের আইনগত দায়িত্ব। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে অথবা সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি প্রদান বাধ্যতামূলক। মজুরি প্রদানে বিলম্ব হলে ক্ষতিপূরণেরও বিধান রয়েছে। তবে এই বিল এবার থেকে আর শুধু কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবে না, এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে রাজ্যকেও। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, বিলটি বিবেচনা এবং পাসের জন্য পেশ করেন।

‘জিরামজি’ বিল নিয়ে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত আলোচনা হয়েছিল লোকসভায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তা সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয়ে যায়। এর পর সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তা-ও গড়ায় মধ্যরাত পর্যন্ত। বিরোধীরা বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু তা করা হয়নি। রাত ১২টা ১৫ পর্যন্ত আলোচনা চলার পরে ধ্বনিভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায় রাজ্যসভাতেও।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande