
আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : মানুষের মুক্তচিন্তার পরিসর প্রসারিত করতে বিতর্ক সভার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তি–তর্কের মাধ্যমে চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণক্ষমতা বাড়ে। তাই বর্তমান সময়ে বিতর্ক সভার গুরুত্ব আরও বেড়েছে— শনিবার আগরতলা টাউন হলে এডভোকেট দিলীপ সরকার মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিতর্ক সভার উদ্বোধন করতে গিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ স্তরে আরও বেশি করে এই ধরনের বিতর্ক সভার আয়োজন করা উচিত। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাহস, আত্মবিশ্বাস, বক্তব্য রাখার দক্ষতা এবং সঠিক যুক্তি উপস্থাপনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিতর্ক সভার মধ্য দিয়ে ইতিহাস জানা, সুযোগের সদ্ব্যবহার ও যোগ্যতার মূল্যায়ন করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও প্রচুর প্রতিভা রয়েছে, তাদের মেধা বিকাশে এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রচেষ্টা’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘নতুন ত্রিপুরা’ গঠনের কাজে সকলে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিকশিত ভারত গড়তে হলে দেশের প্রতিটি রাজ্যকে বিকশিত রাজ্যে পরিণত হতে হবে, এবং সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরা এগিয়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার উন্নয়নকে বিশেষভাবে তুলে ধরছেন।
এডভোকেট দিলীপ সরকার মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতেও এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরিন্দম লোধ এবং খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিতর্কের মডারেটর ডাঃ কুনাল সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের পক্ষে শ্রীমতি মঞ্জু সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইন কলেজের দৃষ্টিহীন ছাত্রী সোনালী মালাকারকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয় এবং তাঁর পড়াশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা করা হয়।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ