
কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর (হি. স.) : আসন্ন সাগর মেলার সময় চ্যানেল প্যাসেজে সমস্যা রাখা হবে না। রাজ্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া স্পষ্টভাবেই সোমবার তা সবিস্তারে জানিয়েছেন।
এবছর গঙ্গাসাগর মেলার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি কাটার কাজে ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই মেলার পরিকাঠামো নির্মাণের সমস্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরে নিয়েই কাজ চলছে। কুয়াশাজনিত সমস্যা মোকাবিলায় এবার বিদেশি প্রযুক্তির বিশেষ আলো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। থাকছে মিউজিক সিস্টেম। ডাইরেক্ট লাইট থাকবে। এছাড়া লম্বা দড়ির মত আলোর ব্যবস্থাও যথারীতি বজায় থাকছে।
সোমবার দুপুরে গঙ্গাসাগরে পৌঁছন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এদিন কাকদ্বীপের লট নম্বর - ৮ থেকে লঞ্চে কচুবেড়িয়ার পথে মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি কাটার কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। কাজের গতি আরও বাড়াতে সেচ দফতরের একাধিক বাস্তুকার ও আধিকারিক এলাকায় উপস্থিত রয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। কচুবেড়িয়ায় নেমে সমস্ত জেটি পরিদর্শনের পাশাপাশি বাফার জোন ঘুরে দেখেছেন তিনি। এরপর সাগরতটে ভাঙন কবলিত এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী।
সেচমন্ত্রী ভুঁইয়া এই প্রসঙ্গে জানান, ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। জোয়ার ভাঁটার জন্য সব সময় চ্যানেল রক্ষা করা সম্ভব নয়। মেলা চলাকালীন চ্যানেলের প্যাসেজে কোনও সমস্যা রাখা হবে না। সেজন্য প্রবীণ ইঞ্জিনিয়ারদের কাজে লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষ আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন খামতি রাখা হচ্ছে না। শুধু গঙ্গাসাগর মেলার জন্য নয় ড্রেজিং হলে সাগরের বাসিন্দারা উপকৃত হবে। কুয়াশার জন্য আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মিউজিক থাকবে। ডিরেক্ট লাইট থাকবে। লম্বা দড়ির মতো আলো থাকবে। রাতে লোকজন থাকবে। সব মিলিয়ে প্রস্তুত রাজ্য সরকার ও সেচ দফতর। যে পরিমাণ অর্থ বাজেটে বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ব্যয়ের পরিমাণ কমে যাবে। আড়াই বছর বাদে সেটা থাকবে না। মুড়িগঙ্গা নদীর উপর গঙ্গাসাগর সেতু তৈরি হবে। ভারতের সবচেয়ে লম্বা হবে এই সাগর সেতু। তখন সাগরের চেহারা বদলে যাবে।
সব মিলিয়ে আমরাও প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, সাগরমেলার মাঠ জুড়ে জোরকদমেই চলছে প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, আগামী ৬ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী সাগর মেলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে আসছেন। তাঁর সঙ্গে ওই সফরেও রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত