পশ্চিম কারবি আংলঙের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, টহল রেফ-এর, নতুন হিংসার খবর নেই
- সমস্যাবলির সমাধান করে এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ত্রিপাক্ষিক আলোচনা গুয়াহাটি, ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : পশ্চিম কারবি আংলং জেলার অন্তর্গত খেরনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কোনও ধরনের উত্তেজনা বা সহিংসতা রুখতে
মঙ্গলবারের হিংসা জৰ্জরিত খেরনি


- সমস্যাবলির সমাধান করে এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ত্রিপাক্ষিক আলোচনা

গুয়াহাটি, ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : পশ্চিম কারবি আংলং জেলার অন্তর্গত খেরনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কোনও ধরনের উত্তেজনা বা সহিংসতা রুখতে সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ সহ মোতায়েন করা হয়েছে রেপিড অ্যাকশন ফোর্স (রেফ)। স্পর্শকাতর এলাকায় টহল দিচ্ছে রেফ, জানিয়েছেন জেলার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক এবং রেফ-এর ডেপুটি কমান্ড্যান্ট।

পুলিশ আধিকারিক জানান, ভিলেজ গ্রেজিং রিজার্ভ এবং প্রফেশনাল গ্রেজিং রিজার্ভ এলাকার সংরক্ষিত ভূমিতে কথিত অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করার দাবিতে সংগঠিত গতকাল (মঙ্গলবার) তৃতীয় দিনের হিংসায় দুজনের প্রাণহানি ঘটলেও নতুন করে আজ (বুধবার) কোনও হিংসার ঘটনা সংগঠিত হয়নি। তবুও সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে রেপিড অ্যাকশন ফোর্স। টানা দু-দিন তীব্র অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, বলেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক।

এদিকে রেপিড অ্যাকশন ফোর্স-এর ডেপুটি কমান্ড্যান্ট টিএন সিং আজ (বুধবার) বিকালে জানান, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে খেরনি ও সংলগ্ন এলাকায় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দু-শতাধিক জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও উত্তেজনা না ছড়ায়, সে জন্য বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় কারবি আংলং এবং পশ্চিম কারবি আংলং জেলাজুড়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস), ২০২৩-এর ১৬৩ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি এক সূত্র জানিয়েছে, গত দু-দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আইজিপি অখিলেশ সিং (আইনশৃঙ্খলা) ও ৩৮ জন পুলিশ কর্মী সহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৫ জন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছেন বলে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভূমি-সংক্রান্ত বিরোধ অবশ্যই আলাপ-আলোচনা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, সরকার, কারবি আংলং স্বশাসিত পরিষদ এবং আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে, যাতে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করে অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা যায়।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande