
গঙ্গাসাগর, ২৩ ডিসেম্বর ( হি. স.) : আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৬। চলতি বছরে কুম্ভ মেলা না থাকায় সাগরতটে রেকর্ডসংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এই বিপুল ভিড় সামাল দিতে এবং পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ও নজিরবিহীন প্রস্তুতি।সোমবার মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপ পরিদর্শনে যান রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিডিও কানাইয়া কুমার রাও-সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এদিন মন্ত্রী কচুবেড়িয়া পয়েন্ট ও গঙ্গাসাগর পয়েন্ট-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন। বিশেষ করে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং বা পলি তোলার কাজ এবং অস্থায়ী জেটি নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মন্ত্রী।সেচমন্ত্রী জানান, পুণ্যার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। এর ফলে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরতা কমবে এবং দীর্ঘ সময় ভেসেল পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ড্রোন নজরদারি, সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য অতিরিক্ত যাত্রীনিবাস ও বাফার জোন তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের লক্ষ্য, ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার’—এই মন্ত্রকে সামনে রেখে পুণ্যার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন গঙ্গাসাগর মেলা উপহার দেওয়া।
হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়