কাঁঠালিয়ায় খেজুরের লালিতে ভেজালের অভিযোগ
বক্সনগর (ত্রিপুরা), ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : শীতের শুরুতেই সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার কাঁঠালিয়া বাজার এলাকায় শুরু হয়েছে খেজুরের লালির বিক্রি। প্রতিবছরের মত এবারও বাজারে চাহিদা রয়েছে খেজুরের রস থেকে তৈরি এই জনপ্রিয় খাদ্যপণ্যের। তবে চলতি বছর
বাজারে লালি বিক্রি


বক্সনগর (ত্রিপুরা), ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : শীতের শুরুতেই সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার কাঁঠালিয়া বাজার এলাকায় শুরু হয়েছে খেজুরের লালির বিক্রি। প্রতিবছরের মত এবারও বাজারে চাহিদা রয়েছে খেজুরের রস থেকে তৈরি এই জনপ্রিয় খাদ্যপণ্যের। তবে চলতি বছরে গুণমান ও স্বাদ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ফলে ক্রেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন সচেতন মহল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বাজারে প্রতি কেজি লালির দাম প্রায় ৪০০ টাকা। উচ্চমূল্যের বাজারে কিছু অসাধু গাছিয়াল নাকি আখের গুড় কিংবা চিনি মিশিয়ে ভেজাল লালি বিক্রি করছে—এমন অভিযোগ উঠেছে এলাকায়। এর ফলে প্রকৃত লালির স্বাদ-গন্ধ বিগত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম, দাবি ক্রেতাদের একাংশের।

ভেজাল লালির অভিযোগে যেখানে ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ, সেখানে সৎ গাছিয়ালরাও পড়ছেন বিপাকে। মনাইপাথর টিটিএএডিসি ভিলেজের বেলতলি পাড়ার প্রবীণ গাছিয়াল সখীচরণ ত্রিপুরা জানান, তিনি ২৫টি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ লালি তৈরি করছেন। তাঁর দাবি, কোনও প্রকার ভেজালের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন, এবং তাঁর লালির গুণমান আগের মতোই ভাল।

স্থানীয়রা বলছেন, দক্ষিণ কাঁঠালিয়া ও আশপাশের এলাকায় বহু গাছিয়াল রয়েছেন যারা সততার সঙ্গে লালি বিক্রি করেন। তবে কিছু অসাধু ব্যক্তির কারসাজির ফলে পুরো বাজার ব্যবস্থাই প্রশ্নের মুখে পড়ছে। বিগত বছরগুলিতে এই অঞ্চলে ভেজাল লালির অভিযোগ তেমন শোনা না গেলেও চলতি মরসুমে অসন্তোষ বাড়ছে ক্রেতাদের মধ্যে।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের পরামর্শ—খেজুরের লালি কেনার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। নতুবা চড়া দামের লালি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গুণমান প্রত্যাশামতো না হলে হতাশা ও আর্থিক ক্ষতি—উভয়ই অনিবার্য।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande