বিকশিত ভারতে কৃষকদের আয় দ্বিগুণের লক্ষ্যে বুদবুদের কর্মশালা
দুর্গাপুর, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : ক্রমশ কমছে চাষযোগ্য জমি ও জলসম্পদ, বদলাচ্ছে বর্ষার ধারাবাহিকতা—জলবায়ু পরিবর্তনের এই বাস্তবতায় দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্
বিকশিত ভারতে কৃষকদের আয় দ্বিগুণের লক্ষ্যে বুদবুদের কর্মশালা


দুর্গাপুর, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : ক্রমশ কমছে চাষযোগ্য জমি ও জলসম্পদ, বদলাচ্ছে বর্ষার ধারাবাহিকতা—জলবায়ু পরিবর্তনের এই বাস্তবতায় দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার জাতীয় কৃষক দিবসে বুদবুদে কৃষকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করল কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, কৃষকদের আয় বৃদ্ধি ও আধুনিক কৃষি পদ্ধতির প্রসারে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের উদ্যোগে ‘বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান’ শুরু হয়েছে। এই অভিযানে দেশের দুই লক্ষেরও বেশি গ্রামে প্রায় দেড় কোটির বেশি কৃষকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন দুই হাজারেরও বেশি কৃষিবিজ্ঞানী। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন গ্রামে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বুদবুদ কেন্দ্রীয় কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র।

এই অভিযানের আওতায় কৃষকদের আধুনিক চাষপদ্ধতি, জৈব সার প্রয়োগ, কম জলে সেচব্যবস্থা, ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছড়ানো—এসব বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় কৃষক দিবস উপলক্ষে চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মদিনে এই বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এদিন সারা দেশে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে ও ৭০০-রও বেশি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় ১২৫ দিনের রোজগার ও জীবিকা নিশ্চয়তা সংক্রান্ত ‘ভিবিজিআরএম’ প্রকল্পের উপস্থাপনাও করা হয়। পাশাপাশি বুদবুদ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে জৈব সার প্রয়োগ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ও জলসাশ্রয়ী চাষপদ্ধতি নিয়ে পৃথক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান ও বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. শেখ মহম্মদ আজিজুর রহমান, সিএসআইআর-সিএমইআরআই-এর বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ইমরান শেখ, নাবার্ড বর্ধমান ডিভিশনের ম্যানেজার সৃজন সোরেন, যমুনাদীঘি ফিসারি হ্যাচারির প্রকল্প আধিকারিক নুর মহম্মদ মোল্লা, বিসিকেভির সহকারী অধ্যাপক লক্ষণচন্দ্র প্যাটেল-সহ একাধিক কৃষিবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক আধিকারিক।

ড. আজিজুর রহমান বলেন, “আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে কীভাবে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা যায়, সেই লক্ষ্যেই এই কর্মশালা। জৈব সার প্রয়োগ, রোগ ও পোকামাকড় দমন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১৪০ জনেরও বেশি কৃষক এতে অংশ নিয়েছেন।”

দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও শিল্পায়নের চাপে কৃষিজমি কমছে। এই বাস্তবতায় ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়তে কৃষিকে আরও আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা। জৈব সার ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে একদিকে উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ কমে কৃষকদের লাভও বৃদ্ধি পাবে—এমনটাই মত কৃষিবিজ্ঞানীদের।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande