
আগরতলা (ত্রিপুরা), ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগী ত্রিপুরা সরকার। পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সাধারণ সভা ও বিভিন্ন দফতরভিত্তিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির পর্যালোচনা বৈঠকে মঙ্গলবার এই বার্তাই দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী কিশোর বর্মন।
সোনারতরী স্টেট গেস্ট হাউসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যেও ‘স্মার্ট গ্রাম পঞ্চায়েত’ তৈরিতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে স্মার্ট পঞ্চায়েত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম জেলার পঞ্চায়েতগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। মন্ত্রী সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন— “গ্রামের আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন হলে তবেই আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব।”
সভায় আত্মনির্ভরতা অর্জনে গ্রামস্তরের পিছিয়ে পড়া পরিবারের উন্নয়ন, দূরবর্তী এলাকার ওপর বিশেষ নজর, দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উপর জোর দেন মন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিনারানী সরকার, জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, জেলা শাসক ডাঃ বিশাল কুমার সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও সরকারি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরা।
কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জানান, চলতি বছরে পতিত জমি উদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অর্থকরী ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। শুখা মরশুমে সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করতেও পদক্ষেপ চলছে।
হর্টিকালচার দফতরের প্রতিনিধিরা জানান, পশ্চিম জেলার বিভিন্ন এলাকায় আদা, হলুদ, গোলমরিচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচসহ নানান মশলা চাষ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। মশলা বোর্ড ও বিভিন্ন ফুড কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাণিজ্যিক উৎপাদনের বিষয়েও ভাবনা চলছে। ফুলচাষের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বনির্ভরতাও বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি জাতীয় ভোজ্য তেল উৎপাদন মিশনের আওতায় অয়েল পাম চাষে ইতিমধ্যেই ৫৭৮.২৮ হেক্টর জমি আচ্ছাদিত হয়েছে।
এদিন বিদ্যুৎ, প্রাণীসম্পদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, যুব ও ক্রীড়া, শিল্প, খাদ্য, মৎস্য, সমাজকল্যাণসহ বিভিন্ন দফতর নিজেদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের রিপোর্ট উপস্থাপন করে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ