ভুবনবনে বৃদ্ধা খুনের রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেফতার মেয়ে ও জামাই
আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : আগরতলার ভুবনবন সারদা পল্লী এলাকায় ৭৪ বছর বয়সি সুলেখা দে খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করল পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতার মেয়ে বুলটি দেব ও জামাই বিষ্ণু দেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায়
গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত


আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : আগরতলার ভুবনবন সারদা পল্লী এলাকায় ৭৪ বছর বয়সি সুলেখা দে খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করল পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতার মেয়ে বুলটি দেব ও জামাই বিষ্ণু দেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় দু’জনেই অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবপ্রসাদ রায়।

গত রবিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুলেখা দে-কে। ঘটনার পরই তাঁর গলার স্বর্ণালঙ্কার লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মেয়ে বুলটি দেব। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার জিবিপি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। প্রাথমিকভাবে দুষ্কৃতীদের কাজ বলে দাবি করলেও তদন্তে অসঙ্গতি ধরা পড়তেই সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে মৃতার মেয়ে ও জামাইয়ের নাম।

পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি রানা চ্যাটার্জি এবং রামনগর ফাঁড়ির ওসি শুভেন্দু দাসের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল বারবার দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বক্তব্য ও ঘটনাস্থলের চিত্রের সঙ্গে মিল না থাকায় পুলিশের সন্দেহ গভীর হয়। শেষ পর্যন্ত জেরার মুখে ভেঙে পড়ে বুলটি দেব ও বিষ্ণু দেব। পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে স্বর্ণালঙ্কারের লোভ এবং পারিবারিক অশান্তির কারণেই তাঁরা সুলেখা দে-কে খুন করেছেন। পরে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার।

এসডিপিও দেবপ্রসাদ রায় জানান, পরিবারে অভাব–অনটন ও দীর্ঘদিনের অশান্তির জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে। তার সঙ্গে যুক্ত ছিল সুলেখা দে-এর শীঘ্রই ম্যাচিউর হওয়া একটি ফিক্সড ডিপোজিট, যার নমিনি ছিলেন অন্য কেউ। ওই টাকা না পাওয়া এবং বিষ্ণু দেবের স্কুটির দাবি ঘিরেই চরম পরিণতি ডেকে আনে।

মঙ্গলবার গ্রেফতার দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। নিজ বাড়িতে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ালেও আসল সত্য প্রকাশ্যে আসতেই স্বস্তি ফিরেছে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande