বিজেপি ক্ষমতায় এলে গঙ্গাসাগর ব্রিজ তৈরি হবে, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মেলা ঘোষণা করা হবে
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৪ ডিসেম্বর (হি. স.): ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে গঙ্গাসাগর ব্রিজ একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হতে চলেছে। বুধবার গঙ্গাসাগরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টভাব
বিজেপি ক্ষমতায় এলে গঙ্গাসাগর ব্রিজ তৈরি হবে, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মেলা ঘোষণা করা হবে


দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৪ ডিসেম্বর (হি. স.): ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে গঙ্গাসাগর ব্রিজ একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হতে চলেছে। বুধবার গঙ্গাসাগরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টভাবে বলেন, “রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলেই গঙ্গাসাগর ব্রিজ তৈরি হবে।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমা সংক্রান্ত আইনের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্রিজ তৈরি করতে পারবেন না।”

যে সময় রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর ব্রিজ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের কথা ঘোষণা করেছে, সেই সময় বিজেপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে বিজেপি ক্ষমতায় না এলে এই ব্রিজ তৈরি হবে না। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।

গঙ্গাসাগর মেলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা অথবা আন্তর্জাতিক মেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

আজকের সভা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও যৌথভাবে তাঁর সভা বানচাল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বলেন, হাই কোর্টের নির্দেশের কারণেই তিনি এসে সভা করতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দীপু দাসের পরিবারের পাশে তাঁরা দাঁড়াবেন। গঙ্গাসাগরের মাটি থেকে তিনি ভোট সংহতির ডাকও দেন। তাঁর দাবি, বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোট সম্পূর্ণভাবে হুমায়ুন ও নওশাদের দিকে চলে গেছে, আর হিন্দু ভোট বিজেপির সঙ্গেই রয়েছে।

এদিন গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী ভারত সেবাশ্রম সংঘের নিমাই মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মন্দিরের আরতিতে অংশ নেন।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ২০২৬ সালের আগে গঙ্গাসাগর ব্রিজ একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে। এছাড়াও এদিন সাগরের বিধায়ক থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসকে একের পর এক তির্যক মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande