ফিরে দেখা ২০২৫, বিষয় : সরকারি কার্যক্রম ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প
গুয়াহাটি, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : বিদায়ী ২০২৫ সালে অসম এবং ত্রিপুরায় সরকারি কার্যক্রম ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কয়েকটি তথ্য ... ১ জানুয়ারি ৫৬টি বিদ্যুৎ পরিচালিত বাস উৎসর্গ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার। খানাপাড়ায় মিনি আইএসবিটি উদ্বোধন। উদ্ব
ফিরে দেখা ২০২৫


গুয়াহাটি, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : বিদায়ী ২০২৫ সালে অসম এবং ত্রিপুরায় সরকারি কার্যক্রম ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কয়েকটি তথ্য ...

১ জানুয়ারি ৫৬টি বিদ্যুৎ পরিচালিত বাস উৎসর্গ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার। খানাপাড়ায় মিনি আইএসবিটি উদ্বোধন। উদ্বোধন পল্টনবাজারে নবনির্মিত ফুটব্রিজের। এছাড়া ৩৬২.০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নিৰ্মীয়মাণ প্ৰস্তাবিত অত্যাধুনিক অসম রাজ্য চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মার।

২ জানুয়ারি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এবং বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা, যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা এবং সুস্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত প্রতি বছর ১৩ মে-কে 'অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে দিবস' হিসাবে ঘোষণা অসম সরকারের।

৩ জানুয়ারি গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিনটি নতুন রেল পরিষেবা যথাক্রমে গুয়াহাটি-উত্তর লখিমপুর, নিউ বঙাইগাঁও-গুয়াহাটি এবং তিনসুকিয়া-নাহরলাগুনের সূচনা।

একই অনুষ্ঠান থেকে অসম সহ দেশের মোট ১২টি স্থান যথাক্ৰমে ঔরঙ্গাবাদ, কালিকট, গোরখপুর, আজমির, পাটনা, কোহিমা, ইটানগর, আইজল, শ্রীনগর, ইমফল এবং আগরতলায় ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি’ (এনআইইএলটি)-কে ইউনিভাৰ্সিটি স্তরে উন্নীত।

কোকরাঝাড় আকাশবাণী কেন্দ্রে এফএম স্টেশন, পবিতরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে সংযোগী ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ৭২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত নতুন রোড ওভারব্রিজ উদ্বোধিত।

১৫ জানুয়ারি অসমের ডিমা হাসাও জেলার মাইবাং শহরের খাসমাইপুরে উদ্বোধিত নবনির্মিত ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম।

১৫ জুন ডিব্ৰুগড়ে ‘মিড ডে মিল’ প্রকল্পের অধীন প্রস্তাবিত ‘সেন্ট্রাল কমিউনিটি কিচেন’ এবং 'হরেকৃষ্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্ৰ'-এর ভূমিপূজন ও শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের।

১২ আগস্ট নগাঁও শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বাণিজ্যিক এলাকা তথা ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত ‘ঢাকাইপট্টি’র নতুন নাম ‘রূপকোঁওর চক’।

৭ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার হাতে চালু হয়েছে ‘অরুণোদয় ৩.০’ প্রকল্প। তৃতীয় দফার অরুণোদয়-এ ১,২৫০ টাকা করে পাবে ৩৮ লক্ষাধিক পরিবার।

১২ অক্টোবর গ্লোবাল হিউম্যান ট্যালেন্ট নির্ধারণে ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার হাত ধরে অসমে প্রবর্তন ‘মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশি ভাষা উদ্যোগ’। অসমের ৫০ হাজার যুবক-যুবতীকে জাপানি ভাষায় প্রশিক্ষণ এবং জাপানে তাঁদের কর্মসংস্থানের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্য।

এছাড়া ২০২৫ সালে সার্বিকভাবে অসম সরকার কর্তৃক প্রচলিত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ও প্রধান প্রকল্পগুলি যথাক্রমে -

পরিকাঠামো উন্নয়ন

অসম মালা ৩.০, যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে গ্রামীণ ও আন্তঃজেলা সড়ক উন্নয়নের জন্য বড় প্রকল্পের বলে শত শত কিলোমিটার নতুন রাস্তা ও সেতু নির্মাণ।

বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে গুয়াহাটি–শিলচর এক্সপ্রেসওয়ে।

ব্রহ্মপুত্র ও উপনদীর ওপর নতুন সেতু

শিল্প, বিনিয়োগ ও অর্থনীতি

অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০, লক্ষ্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ।

পেট্রোকেমিক্যাল, শক্তি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন খাতে বিনিয়োগ, লক্ষ্য হাজার হাজার কর্মসংস্থান।

ডিব্রুগড়ের নামরূপে সার কারখানা

স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে দুগ্ধ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প

কৃষক ও পশুপালকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট।

কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন

কৃষক কল্যাণ প্রকল্পের অধীনে বীজ, সার ও কৃষিযন্ত্রে ভরতুকি। ধান, চা ও হর্টিকালচার উন্নয়নে বিশেষ সহায়তা।

গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন

জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে দুর্গম ও আদিবাসী এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ।

স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণে পরিকাঠামো উন্নয়ন

মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালের আধুনিকীকরণ।

ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ক্যারিয়ার প্রগ্রেশন স্কিম।

সরকারি স্কুলের শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য ও কমিউনিটি কিচেন

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন

কারিগরি ও দক্ষতা-ভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় জোর দিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন ভেটেরিনারি ও ফিশারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।

যুব দক্ষতা উন্নয়ন

আত্মনির্ভর যুব সমাজ গঠনে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।

পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নদীভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকায় নদীবাঁধ মজবুতীকর।

প্রশাসনিক ও নীতিগত উদ্যোগ

ভূমি অধিকার ও পাট্টা বিতরণ করতে চালু মিশন বসুন্ধরা ৩.০

আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা

ব্যাপক মাদক-বিরোধী অভিযান।

সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ শান্তি রক্ষা।

সংক্ষেপে ত্রিপুরা সরকারের প্রধান কার্যকলাপ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ।

পরিকাঠামো উন্নয়ন

জাতীয় ও রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণ : আগরতলা–সব্রুম, আগরতলা–ধর্মনগর সড়কের উন্নয়ন।

রেল সংযোগ সম্প্রসারণ : সাব্রুম পর্যন্ত রেললাইন, আগরতলা রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ।

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য মৈত্রী সেতু ও সীমান্ত সড়ক।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্র

আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং জিবিপি হাসপাতালের উন্নয়ন।

আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (পিএম-জেএওয়াই) প্রকল্পে লক্ষাধিক মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান।

চালু মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সহায়তা প্রকল্প।

স্কুল ও কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়ন

জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়ন।

টেকনিক্যাল ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপন।

কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন

মুখ্যমন্ত্রী কৃষক সহায়তা যোজনা।

রবার, বাঁশ ও হর্টিকালচার উন্নয়ন প্রকল্প।

প্ৰধানমন্ত্ৰী কিষাণ সম্মান নিধি বাস্তবায়ন।

শিল্প ও বিনিয়োগ

ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন পলিসি।

ফুড প্রসেসিং, বাঁশ শিল্প ও হ্যান্ডলুম উন্নয়ন।

স্টার্টআপ ত্রিপুরা উদ্যোগ

সামাজিক কল্যাণ, প্ৰধামন্ত্ৰী আবাস যোজনা (গ্রামীণ ও শহর), উজ্জ্বলা যোজনা (বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ), জল জীবন মিশন - ঘরে ঘরে পানীয় জল।

ডিজিটাল ও প্রশাসনিক সংস্কার

ই-গভর্ন্যান্স ও অনলাইন পরিষেবা সম্প্রসারণ। স্মার্ট সিটি আগরতলা প্রকল্প। ডিজিটাল ত্রিপুরা ভিশন।

সীমান্ত বাণিজ্য ও সংযোগ

বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত হাট। আগরতলা–আখাউড়া রেল লিংক প্রকল্প। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্য।

(অন্য বিষয়ের খবর পরবর্তীতে)

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande