
কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর (হি. স.) : কুলপি ব্লকে গাজীপুরে ঢালাই রাস্তার কাজের সূচনা হল। শনিবার তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে হতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী ওই দুই প্রকল্পের মাধ্যমেই রাজ্য জুড়ে গ্রাম ও শহরের মধ্যেই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো মজবুত ও নিরাপদ এবং টেঁকসই করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে, ওই প্রকল্পে গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১০টি ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ হবে। সেই মতো রাজ্য সরকারের পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পে চতুর্থ পর্বে শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কুলপি ব্লকের গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে এলাকায় দুটি ঢালাই রাস্তার কাজের সূচনা করা হয়েছে। সিদ্ধিবেড়িয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ফিতে কেটে এর সূচনা করেন কুলপি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বন্দনা কর্মকার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্মাধ্যক্ষ (শিক্ষা) সুপ্রিয় হালদার, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাহানুর বিবি মোল্লা, উপপ্রধান রুকিয়া বিবি, ব্লক সংখ্যালঘু তথা গাজীপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা, ব্লক সভাপতি শামসুর আলম মীর সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা। এদিনের অনুষ্ঠান থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়নের কর্মকান্ড চালু রয়েছে সেই উন্নয়নের বার্তা দেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রিয় হালদার।
কুলপি ব্লক সূত্রে এদিন আরও জানা গিয়েছে যে, গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনুমোদন পাওয়া ১০ টি ঢালাই রাস্তার কাজের মধ্যে এদিন সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি ব্লকের গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছামনাবুনি বড় পোল থেকে হেনসি হাউস হয়ে গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যন্ত ঢালাই রাস্তার কাজের শুভ সূচনা করা হয়েছে। ১.৬৫০ কিমি দৈর্ঘ্য ৩.৭৫০ মিটার চওড়া এই ঢালাই রাস্তার কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭০ টাকা। এই রাস্তার কাজ শেষ হলে একদিকে যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে অন্যদিকে তেমনি আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
এছাড়াও, এদিন গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিমান মুখার্জির বাড়ি হয়ে ঠাকুর বড়তলা পর্যন্ত ঢালাই রাস্তার কাজের সূচনা করা হয়েছে। মোট ১.৬৫০ কিমি দৈর্ঘ্য এবং ৩.৭৫০ মিটার চওড়া ওই ঢালাই রাস্তার কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৭ লাখ ১০ হাজার ৮৫২ টাকা। ওই ঢালাই রাস্তাটির কাজ শেষে সংশ্লিষ্ট এলাকার বহু মানুষ উপকৃতের তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত