
ইমফল, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : আজ রবিবার তাঁর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ১২৯-তম ‘মন কি বাত’-এ মণিপুরের অনুপ্রেরণাদায়ক নারী উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বলেন, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানকে যুক্ত করা গেলে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘মন কি বাত’ এমন এক মঞ্চ, যেখানে নিষ্ঠা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়িতকারীদের তুলে ধরা হয়। এই প্রেক্ষাপটে তিনি চূড়াচাঁদপুর জেলার মার্গারেট রামথারসিয়েমের উদ্যোগকে একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
প্রদানমন্ত্রী বলেন, রামথারসিয়েম তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন একজন হস্তশিল্প শিল্পী হিসেবে। কিন্তু তিনি মণিপুরের ঐতিহ্যবাহী পণ্য-হস্তশিল্প সহ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি সামগ্রী নিয়ে আরও বৃহত্তর ভূমিকার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিস্তৃত এই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়েই তিনি তাঁর সমাজে পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। আজ তাঁর হস্তশিল্প ইউনিটে ৫০ জনেরও বেশি স্থানীয় কারিগর কাজ করছে। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি তাঁর হস্তশিল্পের পণ্য সামগ্ৰী এখন দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে তাঁ সফল বাজার পেয়েছে।
মোদী সেনাপতি জেলার চোকোনে ক্রিচেনার গল্পও শুনিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজে গভীরভাবে যুক্ত একটি পরিবার থেকে ওঠে এসে ক্রিচেনা ফুলচাষে বৈচিত্র্য এনেছেন। তিনি তাঁর আগ্রহকে একটি টেকসই জীবিকাভিত্তিক উদ্যোগে রূপান্তরিত করেছেন, যা স্থানীয় উৎপাদনকে বৃহত্তর বাজারের সঙ্গে যুক্ত করছে এবং অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়িত করছে।
এই উদাহরণগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী দক্ষতা ও জ্ঞান শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিনে পরিণত হতে পারে। তিনি নাগরিকদের তাঁদের আশপাশের এমন আরও সাফল্যের গল্প ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ স্বীকৃতি ও ব্যাপক প্রচারের যোগ্য।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস