গুয়াহাটি ২২ জুন (হি.স.) : গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ে মা কামাখ্যা মন্দিরে ঐতিহ্যমণ্ডিত অম্বুবাচি মেলার ধুম পড়ে গেছে। ইতিমধ্যে অসংখ্য সাধু-সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থীরা জমায়েত হয়ে গেছেন। মন্দির পরিচালন সমিতি ও কামরূপ মেট্রো জেলা প্রশাসনও সুষ্ঠুভাবে অম্বুবাচি পার্বণ সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে। আজ বুধবার রাত ৮-টা ১৮ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে হবে অম্বুবাচি মহাযোগের প্ৰবৃত্তি। নিবৃত্তি হবে ২৬ জুন রবিবার সকাল ৮-টা ৪১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে।
গত দু-বছর করোনার প্রভাবে প্রসিদ্ধ অম্বুবাচি পার্বণ নামকোয়াস্তে পালিত হয়েছিল। সাধু-সন্ত-সন্ন্যাসী, ভক্তকুল ছাড়া কেবল নিয়মরক্ষায় খুব সীমিত সংখ্যায় সেবাইতের হাতে পালিত হয়েছিল মায়ের প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির অনুষ্ঠান।
এবার করোনা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় অম্বুবাচি মেলার আয়োজন করা হলেও জারি করা হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। ইতিমধ্যে ভক্তকুলের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাও গ্ৰহণ করেছে প্রশাসন। অম্বুবাচি মেলা সম্পর্কে পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া জানান, ভক্ত-যাত্রীদের জন্য ফ্যান্সিবাজারে পুরনো কারাগার চত্বরে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী আবাস। সোনারাম ফিল্ডেও আবাস ও গাড়ি পাৰ্কিঙেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যবারের মতো এবার পাহাড়ের ওপর কোনও ক্যাম্প তৈরি করা হয়নি।
এবার ৩০ হাজার পুণ্যার্থীর থাকা ও খাওয়ার টাৰ্গেট নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও এই সংখ্যা থেকে বহু কম ভক্তসমাগম হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, এবারও অম্বুবাচি মেলায় স্বচ্ছতার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, আইএসবিটি এবং দুই রেলওয়ে স্টেশন কামাখ্যা ও গুয়াহাটিতে বাসের ব্যবস্থা রয়েছে। প্ৰথম দফায় ৮০টি বাসে ব্যবস্থা রাখা হলেও প্ৰয়োজনে এর সংখ্যা বাড়ানো হবে। এছাড়া এবার কেবল বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য রাখা থাকবে ফেরি কার। কোনও ভিআইপি বা ভিভিআইপি পাসের ব্যবস্থা এবার রাখা হয়নি। রাস্তাগুলি দিয়ে উপরে মন্দিরে যাওয়ার জন্য রেলিঙের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন, জানান জয়ন্তমল্ল বরুয়া। বিগত দিনগুলির মতো এবার বিশেষ জাকজমক থাকবে না অম্বুবাচি মেলায়। থাকবে না কোনও ধরনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও, বলেন পর্যটন মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ / অরবিন্দ