অরুণাচল সরকারকে ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান কেন্দ্ৰীয় অর্থমন্ত্রী সীতারমণের
অরুণাচল প্রদেশ সরকারকে রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মধ্যম উদ্যোগের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা এবং প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটি মূল কৌশল হিসাবে ক্লাস্টার উন্নয়ন পদ্ধতি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
আউটরিচ প্রোগ্রামে ভাষণ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ


অনুষ্ঠান মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ


কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পরম্পরাগত উপহার সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী এস চৌনা মেইন


মহিলা স্বসহায়ক গোষ্ঠীকে অৰ্থ সাহায্য


মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাই-সাইকেল প্রদান


ইটানগর, ১ অক্টোবর (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশ সরকারকে রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মধ্যম উদ্যোগের (মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস সংক্ষেপে এমএসএমই) সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা এবং প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটি মূল কৌশল হিসাবে ক্লাস্টার উন্নয়ন পদ্ধতি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

আজ মঙ্গলবার নামসাইয়ে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া আয়োজিত ক্রেডিট আউটরিচ প্রোগ্রামে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশে আজ পর্যন্ত এমএসএমই মন্ত্রকের ঘোষিত একটিও ক্লাস্টার নেই। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুকে রাজ্যে ২০টি জিআই-শনাক্ত পণ্যগুলির ক্লাস্টার বিকাশের পদ্ধতি গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি৷ ছোট জায়গায় এ ধরনের ক্লাস্টার মন্ত্রক কৰ্তৃক ঘোষণা করে ভারতের ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন ব্যাংক (এসআইডিবিআই)-এর সাথে যুক্ত করা যেতে পারে৷’

প্রসঙ্গত, ক্লাস্টার হলো একটি শনাক্তযোগ্য এবং যতদূর বাস্তবসম্মত, সংলগ্ন এলাকার মধ্যে অবস্থিত, অনুরূপ পণ্য উৎপাদনকারী উদ্যোগগুলির একটি গ্রুপ।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নামসাই-এ এসবিআই-এর আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কার্যালয় (আরবিও)-এর উদ্বোধন করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে কার্যত ছয়টি অতিরিক্ত এসবিআই শাখা চালু করেছেন। পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে নির্মলা সীতারমণ ‘এক পেড় মা কে নাম’ প্রচারাভিযানের অধীনে আরবিও নামসাই-এ একটি বৃক্ষরোপণও করেছেন। জনতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অংশ হিসেবে স্থানীয় মহিলা স্বসহায়ক গোষ্ঠীগুলির (এসএইচজি) সাথে আলাপচারিতা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি এসবিআই-এর সিএসআর কার্যকলাপের অধীনে মেয়ে শিক্ষার্থীদের একটি স্কুল বাস এবং ১০০টি বাই-সাইকেল প্রদান করেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আত্মনির্ভর ভারত, দীনদয়াল উপাধ্যায় স্বাবলম্বন যোজনা (ডিডিইউএসওয়াই), স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া, পিএমএসভিএ নিধি, পিএম বিশ্বকর্মা, শ্যাম সিধা সহ এসএইচজি-র মতো বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ১৯৫ জন সুবিধাভোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ৬.৮১ কোটি টাকা জমা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। এছাড়া জিআই রেজিস্টাৰ্ড উদ্যোগীদের নাবাৰ্ড-প্ৰদত্ত জিআই ট্যাগযুক্ত পণ্যগুলির ৮.৮০ লক্ষ টাকা রিলিজ করেছেন তিনি।

তদুপরি উপযুক্ত চাষ এবং কৃষক কল্যাণের জন্য ৪.০ প্রযুক্তির একটি পাইলট কৃষি প্রদর্শনের মাধ্যমে যুব ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কৃষি মহাবিদ্যালয়কে ৩২.৩৭ লক্ষ টাকা রিলিজ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারমণ। কেবল তা-ই নয়, নির্মলার উপস্থিতে সমন্বিত ফুল চাষ এবং মৌমাছি পালনের জন্য ডিপিআর প্রকল্পের জন্য ৩০.৬৭ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে বেথেল লাইফ কেয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট।

অনুষ্ঠানে অন্য বহুজনের সঙ্গে ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এস চৌনা মেইন, আর্থিক পরিষেবা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তাগণ, মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, নাবার্ড, সিডবি এবং রাজ্য সরকারের সিনিয়র অফিসারগণ।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার ইটানগরে পৌঁছে এদিন রাতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মক্ষমতার পর্যালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande