আগরতলা, ১ অক্টোবর (হি.স.) : ত্রিপুরার অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্ব-উদ্যোগীদের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। মঙ্গলবার হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক ইন্ডোর এক্সিবিশন হলের অডিটোরিয়ামে র্যাম্প (রেইজিং অ্যান্ড অ্যাক্সিলারেটিং এমএসএমই পারফরমেন্স) প্রকল্পের সূচনা করে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্তনা চাকমা। একথা বলেন।
মন্ত্রী সান্তনা চাকমা আরও বলেন, কর্মোদ্যোগীদের পাশে সর্বদাই বর্তমান সরকার রয়েছে। কিন্তু তাদেরও চেষ্টা ও সংযম রেখে এগিয়ে যেতে হবে।রাজ্যে রাবার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বাঁশ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। রাজ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ শিল্পই ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই পিএমইজিপি, স্বাবলম্বন সহ বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায়ও রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৯৩২ জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, রাজ্যের জিডিপিতে এমএসএমই-দের ১১ শতাংশ যোগদান রয়েছে। তা আগামীদিনে আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এই র্যাম্প স্কিম আগামী ৩ বছর চলবে। এর মাধ্যমে রাজ্যে ৩,২০০ জন মডেল উদ্যোগী বানানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ