লামডিং-শিলচর জাতীয় সড়কে আবদ্ধ অসংখ্য লরি চালক-খালাসি, খাদ্য-পানীয় জল ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা ডিমা হাসাও প্রশাসনের
হাফলং (অসম), ৩ জুলাই (হি.স.) : লামডিং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের জাটিঙ্গা ও হারাঙ্গাজাওয়ের মধ্যবর্তী জাটিঙ্গা লামপুরে ধস নেমে জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে লামডিং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে গত দশ-এগারো দিন থেকে বহিঃরাজ্য থেকে দক্ষিণ অসমে
লরি চালক-খালাসির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন ডিমা হাসাও জেলার ডাক্তাররা


হাফলং (অসম), ৩ জুলাই (হি.স.) : লামডিং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের জাটিঙ্গা ও হারাঙ্গাজাওয়ের মধ্যবর্তী জাটিঙ্গা লামপুরে ধস নেমে জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে লামডিং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে গত দশ-এগারো দিন থেকে বহিঃরাজ্য থেকে দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরামগামী হাজার হাজার পণ্যবাহী লরি মান্দারডিসা, হাতিখালি, লাংটিং, মাইবাং এবং মাহুরে আটকে রয়েছে। এভাবে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া লরি চালক ও খালাসিদের মধ্যে পানীয় জলের সঙ্গে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে লরি চালক ও খালাসিদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। তাই জাতীয় সড়কে আটকে পড়া লরি চালক ও খালাসিদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী, পানীয় জল এভং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসন।

মাইবাং মহকুমার এসডিও সিভিল স্যামন্ত রবি বরা ও পুলিশ প্রশাসন মিলে আটকে পড়া লরি চালকদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাইবাং, লাংটিং, হাতিখালি থানার পুলিশ কর্মী ও মান্দারডিসা পুলিশ আউট পোস্টের পুলিশ কর্মীরা আটকে পড়া ট্রাক চালকদের তিন দিনের জন্য ৩ কেজি চাল, ডাল ৬০০ গ্রাম, তেল ২০০ গ্রাম, ২ প্যাকেট ক্যান্ডেল বিতরণ করেছেন।

তাছাড়া জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের গাড়ি দিয়ে লরি চালকদের পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে। মাইবাং সিএইচসি-র পক্ষ থেকে আটকে পড়া লরি চালক ও খালাসিদের জন্য স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা করে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দুদিনের ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে গত ২৩ জুন লামডিং-শিলচর ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের জাটিঙ্গা হারাঙ্গাজাওয়ের মধ্যবর্তী জাটিঙ্গা লামপুরে ধস নেমে সড়কপথ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার জেরে ওই সড়ক বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে ধস-বিধ্বস্ত জাটিঙ্গা লামপুর অংশের নীচে দিয়ে যাওয়া মহাসড়ক খুলে দেওয়ায় হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী লরি ও ভারী যানবাহন। বর্তমানে জাটিঙ্গা লামপুর অংশে জাতীয় সড়ক অ্যালাইনমেন্ট বদল করে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে যদিও এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।

জানা গেছে, নতুন সড়ক নির্মাণ হতে আরও দু-তিন দিন সময় লাগতে পারে। ইতিমধ্যে বহিঃরাজ্য থেকে নিয়ে আসা কাঁচামাল, ফলমূল নষ্ট হতে শুরু করেছে। ভুক্তভোগী লরি চালক এবং বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জাটিঙ্গা লামপুরে ধস নেমে এই বিপর্যয় সংঘটিত হয়েছে। মহলগুলির বক্তব্য, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বর্ষার আগেই যদি ওই সড়কপথটি সংস্কার করত, তা-হলে এ ধরনের বিপর্যয় সংঘটিত হত না।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande