গুয়াহাটি, ৩০ অক্টোবর (হি.স.) : সরকারি ১.৭৪ কোটি টাকা তছরূপ মামলায় শীর্ষ আধিকারিক সহ পাঁচজনকে দোষী বলে সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে গুয়াহাটিতে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত।
আজ বুধবার মামলার শেষ শুনানিতে সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক সরকারি কর্মচারীদের দায়বদ্ধতা এবং দুর্নীতিগ্রস্ত বলে এই রায় দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তরা ফুরোনির হাঁস প্রজনন খামারের প্রাক্তন ম্যানেজার এম রহমানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ দু বছরের কারাদণ্ড, প্রাণীপালন ও ভেটেরিনারি বিভাগের প্রাক্তন ইউডিএ বিএন চক্রবর্তীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া পশুসম্পদ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত তিনজন বেসরকারি ব্যক্তি জয়ন্ত শর্মা, টিকে দাস এবং প্রণব শইকিয়াকে যথাক্রমে ৪০ হাজার, ৫০ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা সহ দেড় থেকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
সাজার রায় শুনিয়ে সিবিআই-এর বিশেষ বিচারক বলেছেন, এ সকল ব্যক্তির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড কেবল জনসাধারণের সম্পদই নষ্ট করেনি বরং সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থার সুদূরপ্রসারি ক্ষতি করেছে।
১৯৯৪ সালের ২৩ জুলাই পশুসম্পদ বিভাগে ব্যাপক আর্থিক কেলেংকারি সম্পর্কে একটি এফআইআর হয়েছিল। পরে মামলাটির তদন্তভার ১৯৯৪ সালের ১৭ মে সিবিআই-এর হাতে দেওয়া হয়। তদন্তে তৎকালীন প্রাণীপালন ও ভেটেরিনারি বিভাগের অতিরিক্ত অধিকর্তা (হিলস) ডা. টি বুড়াগোহাঁইনের নেতৃত্বে দুৰ্নীতি সংগঠিত হয়েছে বলে ধরা পড়ে। তাঁর সাঁকরেদ ছিলেন সরকারি কর্মচারী এবং বেসরকারি কতিপয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে তারা ১.৭৪ কোটি টাকার ভুয়ো বিল তৈরি করে লুট করেছিলেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস