শ্রীভূমি (অসম), ২১ ডিসেম্বর (হি.স.) : একতরফাভাবে প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে এবং এসটিমেটেড বিল প্রদানের বিরুদ্ধে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের করিমগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে আজ শনিবার করিমগঞ্জের লক্ষ্মীবাজার, বাঘরসাঙ্গন এবং পানিঘাট বাজার এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পথসভার আয়োজন করা হয়েছে।
পথসভায় কমিটির সভাপতি সুনীতরঞ্জন দত্ত বলেন, ‘রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কোনওধরনের অনুমতি ছাড়াই কখনও ভয় দেখিয়ে, কখনও চাপ সৃষ্টি করে ঘরে ঘরে গিয়ে স্মাৰ্ট মিটার বসানোকে কেন্দ্ৰ করে গোটা রাজ্য উত্তাল। কিন্তু সরকার মিটার স্থাপনের কাজ অত্যন্ত কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে জনসাধারণ এই মিটার বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে রাজপথে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। স্মাৰ্ট মিটার বন্ধের দাবিতে জনগণের এই ন্যায্য দাবী মেনে সরকারের অবিলম্বে গ্রাহকদের স্বাৰ্থের পরিপন্থী স্মাৰ্ট মিটার বাতিল করা উচিত।’
অপর বক্তা কমিটির জেলা কমিটির অন্যতম গোপালচন্দ্র পাল বলেন, ‘বৰ্তমানের ডিজিটেল মিটার বিদ্যুৎ পরিমাপে যখন একশো শতাংশ নির্ভুল ছিল তখন রাজকোষের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপনের কোনও প্ৰয়োজনই ছিল না। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে রাজকোষের টাকা অপচয় করে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার অন্যান্য বিষয় উন্নয়নের জন্য খরচ করতে পারত। মূলত বৃহৎ কৰ্পোরেট গোষ্ঠীর স্বাৰ্থে সরকার জোর করে এভাবে স্মাৰ্ট মিটার স্থাপন করতে চাইছে।’ সরকারের জনবিরোধী স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপনের প্রকল্প বাতিল এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ব্যবস্থা রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান তিনি।
অপর বক্তা গৌতম চোধুরী বলেন, ‘স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন নিয়ে দিকে দিকে জনসাধারণের মধ্যে যে প্রকাশিত হচ্ছে, সেই ক্ষোভকে একত্রিত করে ব্যাপকভাবে গণ-আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। জনসাধারণের ন্যায্য দাবি আদায় করতে যথার্থ আন্দোলনই হচ্ছে একমাত্র হাতিয়ার।’ তাই অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করতে দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের জনগণকে এই গণ-আন্দোলনে যোগদান করার আহ্বান জানান তিনি।
আজকের পথসভাগুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য পৃথ্বীজিৎ দেব, সম্পাদক সুজিৎকুমার পাল সহ অন্যান্যরা।
হিন্দুস্থান সমাচার / স্নিগ্ধা দাস