রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা শূন্যে নামাতে অসম সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে : শিক্ষামন্ত্রী ডা. পেগু
রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা শূন্যে নামাতে অসম সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম  নিযুত ময়না প্রকল্প, মিড-ডে মিল প্রকল্প এবং বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মতো উদ্যোগ। বলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগু।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করছেন অসমের শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগু


অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করছেন বিটিসি-প্ৰধান প্রমোদ বড়ো


অনুষ্ঠান মঞ্চে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগু, বিটিসি-প্ৰধান প্রমোদ বড়ো সহ অন্য  বিশিষ্টজন


কোকরাঝাড় (অসম), ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা শূন্যে নামাতে অসম সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম নিযুত ময়না প্রকল্প, মিড-ডে মিল প্রকল্প এবং বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মতো উদ্যোগ। এ সব পদক্ষেপের বলে অসমে স্কুলছুটের হার রোধ করার পাশাপাশি উচ্চ গুণমান সম্পন্ন শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সরকার, বক্তা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগু।

আজ সোমবার কোকরাঝাড় জেলায় শিক্ষাক্ষেত্ৰের উন্নয়নমূলক এক কাৰ্যসূচিতে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগু। বিটিসিএলএ অডিটোরিয়ামে বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল কাউন্সিল (বিটিসি)-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (সিইএম) প্রমোদ বড়োর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত কাৰ্যসূচিতে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন কোকরাঝাড় এবং চিরাং জেলার বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক, শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে অন্যতম কাৰ্যক্ৰম ছিল মতবিনিময় অধিবেশন।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচনার বিষয় ছিল বডো শান্তিচুক্তির ধারা ৬.৩ বাস্তবায়ন, শিক্ষক নিয়োগ, স্কুলের পরিকাঠামো, পাঠ্যপুস্তকের প্রাপ্যতা এবং কলেজের প্রাদেশিকীকরণ।

মতবিনিময় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্ৰী ডা. পেগু রাজ্যে নিপুণ অসম মিশনের ওপর তথ্যবহল বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি ভিত্তিগত সাক্ষরতা এবং সংখ্যাগত বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, শিক্ষকদের এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে এবং শিক্ষাগত ফলাফল উন্নত করতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত স্মার্ট ক্লাসরুম ডিভাইসগুলি ব্যবহারের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

বিটিসি-প্রধান প্রমোদ বড়ো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগত সমস্যা সমাধানের জন্য ডা. রণোজ পেগুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন (বিটিআর)-এ শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক শিক্ষা প্রদানের জন্য পরিকাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করা, পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের প্রচার এবং স্কুলে ডিজিটাল সাক্ষরতার অগ্রগতির প্রয়োজনীয়তার ওপর প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পেশ করেছেন।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় অধিবেশনে বিটিসি-র ইএম রাকেশ ব্রহ্ম, বিটিআর-এর প্রধানসচিব আকাশ দীপ, শিক্ষা বিভাগের সচিব অমরজ্যোতি বর্মণ, শিক্ষা অধিকর্তা জগদীশ প্রসাদ ব্রহ্ম সহ উচ্চপদস্থ ও পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিটিসি-র সিইএম প্রমোদ বড়ো, বিধায়ক লরেন্স ইসলারিকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রী কোকরাঝাড়ের গার্লস কলেজের ৩৫-তম ফ্রেশার্স সোশ্যাল ডে-তেও গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ কমল কুমার ব্রহ্ম। প্রসঙ্গত, কোকরাঝাড়ের গার্লস কলেজ বিটিআর-এ মহিলাদের শিক্ষার জন্য নিবেদিত একমাত্র ন্যাক-স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। এছাড়া শিক্ষামন্ত্ৰী ডা. পেগু কোকরাঝাড়ের বিনেশ্বর ব্রহ্ম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শন করে এর পরিকাঠামো সম্পৰ্কিত নানা বিষয়ের পর্যালোচনা করেছেন। কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এর সীমানা প্রাচীর, অডিটোরিয়াম, হস্টেল সহ চলমান নির্মাণ প্রকল্পগুলির পর্যবেক্ষণ করেছেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে আগত শিক্ষামন্ত্ৰী ডা. রণোজ পেগু ছাত্র, শিক্ষক এবং গভর্নিং বডির সাথে তাঁদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ২১ শতকের দক্ষতা বিকাশের জন্য উৎসাহিত করে উদ্যোক্তার কাছে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রচলিত জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০২০-এর বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande