উচ্চশিক্ষা অর্জন করেও জীবিকা নির্বাহে জুতো সেলাই, সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র দাসের কাহিনী
হিঙ্গলগঞ্জ, ৪ সেপ্টেম্বর(হি.স.): উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবনের গোবিন্দকাটি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র দাস। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগ নিয়ে এমএ এবং বিএড পাস করা সুভাষের জীবন সংগ্রামের গল্প যেন এক অন্য সুভাষের কাহিনী। এ
জুতো সেলাই 2


হিঙ্গলগঞ্জ, ৪ সেপ্টেম্বর(হি.স.): উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবনের গোবিন্দকাটি গ্রামের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র দাস। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগ নিয়ে এমএ এবং বিএড পাস করা সুভাষের জীবন সংগ্রামের গল্প যেন এক অন্য সুভাষের কাহিনী। এমএ, বিএড পাস করেও এখনও মেলেনি চাকরি; বাধ্য হয়ে সংসার চালাতে তিনি বেছে নিয়েছেন জুতো সেলাইয়ের পথ।

সুভাষের এই সংগ্রাম আজকের নয়। পড়াশোনার খরচ চালাতে এক সময় কলেজে যাওয়ার সময় ট্রেনে জুতো সেলাই এবং পালিশের কাজ করতেন তিনি। দিন বদলেছে, কিন্তু সুভাষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। এখনও রাস্তার পাশে বসে জুতো পালিশ করেন তিনি। হিঙ্গলগঞ্জের এলাকার মানুষ সকলে চেনেন তাঁকে, এবং সেই সূত্রে কিছু ছাত্রকেও পড়ান সুভাষ।

সুভাষের জীবনের এই কঠোর সংগ্রামের শুরু সেই সময় থেকে যখন তিনি বারাসাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পড়াশোনার জন্য। বাড়িভাড়ার খরচ চালাতে জুতো সেলাই এবং পালিশের কাজ করতেন তিনি। এই খবর ভাড়া বাড়ির মালিকের কাছে পৌঁছালে, তিনি সুভাষকে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলেন। এর পরের কিছুদিন প্ল্যাটফর্মে কাটাতে বাধ্য হন সুভাষ।

২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় সফল হলেও আইনি জটিলতায় আটকে আছে তাঁর নিয়োগ। তবে পুজোর আগে সেই জট কাটতে পারে বলে আশা করছেন সুভাষ। হয়তো এবার সুদিন ফিরবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন এই সংগ্রামী যুবক।

হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়




 

 rajesh pande