তেজপুর (অসম), ৪ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : অনলাইনে অবৈধ বাণিজ্যকে রাজ্যে সমূলে উৎখাত করতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কড়া নির্দশের পর অ্যাকশনে অসম পুলিশ। ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় পুলিশের অভিযানে অনলাইন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হয়েছে। এরই মধ্যে আজ বুধবার সকালে শোণিতপুর জেলা সদর তেজপুর পুলিশ জালে তুলেছে ৩০০ কোটি টাকার বেশি টাকা আত্মসাৎকারী বান্দরমারির যুবক হেমেন রাভা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রায় ছয়মাস আগে মুড়াতেতেলি এলাকায় কাৰ্যালয় খুলে কৰ্মচারী নিয়োগ করে অনলাইন ট্ৰেডিঙের মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছ থেকে দুই থেকে দশ লক্ষ টাকা সংগ্ৰহ করে এক মাসের মধ্যে ছয় থেকে দশ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল হেমেন রাভা৷ এভাবে ছয়মাসে অনলাইন ট্ৰেডিঙের মাধ্যমে তেজপুর সহ রাজ্যের অন্যান্য এলাকার বহুজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রায় তিনশো কোটি টাকা সংগ্ৰহ করার অভিযোগ উঠেছে হেমেনের বিরুদ্ধে।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা না পেয়ে ইতিমধ্যে হেমেনের বিরুদ্ধে একাংশ ভুক্তভোগী তেজপুরের কছারিগাঁও পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েকটি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন৷ ইত্যবসরে গতকাল মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা অনলাইন ট্ৰেডিঙের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে বলে হুংকার দিয়েছেন। এর পর গতকালই আরও গ্ৰাহক হেমেন রাভার সঙ্গে তার কাৰ্যালয়ে দেখা করে তাদের আমানতের টাকা ফেরত চান।
মুখ্যমন্ত্ৰীর হুংকারের পর আজ সকালে গিনি ক্যাপিটাল নামের হেমেন রাভার অনলাইন কোম্পানির দুই কৰ্মচারী দীনোৎপল বরা ও নের্সন নাৰ্জারি এবং অসীম শইকিয়া সহ আরও দুই ভুক্তভোগী গ্ৰাহক তেজপুরের মুড়াতেতেলিতে অনলাইন ট্ৰেডিং প্ৰতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হেমেন রাভার সঙ্গে দেখা করে তাদের জমা টাকা ফেরত দিতে বলেন৷ এই দুই কৰ্মচারীর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিল হেমেন রাভা৷
এদিকে প্ৰাপ্য টাকা ফেরত চাওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছিল হেমেন। সে ভুক্তভোগী তিন যুবককে নিয়ে এস সঙ্গে একটি হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে ওই হেটেলেই রাত কাটায়৷ কিন্তু এর পর চালাকি করে বিনিয়োগকারী যারা টাকা ফেরত চেয়েছিল, তারা তাকে অপহরণ করে অভিযোগ করে পুলিশকে জানায়৷
এই খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ হোটেলে অভিযান চালিয়ে হেমেন রাভা সহ বাকি যুবকদের আটক করে তেজপুর সদর থানায় নিয়ে আসে৷
থানায় সব নথিপত্ৰ পরীক্ষা করে ধরা পড়ে জালিয়াতির বিপুল তথ্য৷ পুলিশ তিন যুবককে মুক্ত করে হেমেন রাভাকে গ্ৰেফতার করেছে৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস