কলকাতা, ৯ সেপ্টেম্বর (হি.স.): ই এম বাইপাস থেকে নিউটাউন পর্যন্ত ফ্লাইওভার তৈরির কাজ নানা কারণে শুরু করা যাচ্ছিল না। সেই কাজের যাবতীয় জটিলতা সরে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল রাজ্য। কিন্তু দরপত্র আহ্বান করেও পর্যাপ্ত সাড়া মেলেনি। তাই ফের দরপত্র আহ্বান করল কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।
বাইপাসের মেট্রোপলিটান সংযোগস্থল থেকে উঠবে প্রস্তাবিত ফ্লাইওভার। সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসে রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে কাজ শুরুর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের কাজে ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে অর্থ দফতর।
৬ বছরের বেশি সময় ধরে এই ফ্লাইওভার তৈরি নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা হচ্ছিল। পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া নিয়েও এক সময় কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তা কেটে গেলে ঘোষণা হয় দরপত্র। এতে সাড়া দিয়েছে দুটি সংস্থা। কিন্তু এ কারণে নির্দ্ধারিত মানের ন্যূনতম তিনটি আবেদনকারী সংস্থা প্রয়োজন। তাই ফের বরাত ডাকা হয়েছে। এবছর শেষের দিকেই ফ্লাইওভার তৈরির কাজ শুরু করতে চায় কেএমডিএ।
ঠিক ছিল পূর্ত দফতর এই ফ্লাইওভার তৈরির কাজ করবে। পরে সেই কাজ যায় কেএমডিএর উপর। কাজ মোটামুটি পাঁচ বছরে শেষ হতে পারে। বাইপাসে মা ফ্লাইওভার থেকে নামার পরেই এই নয়া ফ্লাইওভারে উঠে যাওয়া সম্ভব হবে। নিউটাউনের সিজি ব্লকের ২২২২ স্ট্রিট পর্যন্ত যাবে এই ফ্লাইওভার।
চিংড়িঘাটা ক্রসিং, সল্টলেক বাইপাস, সেক্টর ফাইভ, মহিষবাথান- নিউটাউনের একেবারে মুখে গিয়ে এই ফ্লাইওভার শেষ হবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ফ্লাইওভার দিয়ে সেক্টর ফাইভ, সল্টলেক থেকে অপেক্ষাকৃত সহজে কলকাতা বিমানবন্দরে চলে আসা যাবে। সেক্টর ফাইভ থেকেও এই ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযোগ থাকবে। গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়ছে। নতুন ফ্লাইওভার না করলে সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছেন পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা।
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত