মাইবাঙে উকাপা স্বশাসিত পরিষদের সিইএম-এর হাতে উদ্বোধিত ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম
মাইবাঙে উকাপা স্বশাসিত পরিষদের সিইএম-এর হাতে উদ্বোধিত ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম
মাইবাঙে উদ্বোধিত ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম


হাফলং (অসম), ১৫ জানুয়ারি (হি.স.) : অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের এক ঐতিহাসিক স্থান মাইবাং। মাইবাংঙে রয়েছে ইতিহাস বিরজিত এক পাথরের ঘর অর্থাৎ রণচণ্ডী মন্দির এবং ডিমাসা রাজার রাজবাড়ি। এই মাইবাংঙে এবার নতুন সংযোজন হলো ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম-এর।

মাইবাং শহরের খাসমাইপুরে নবনির্মিত ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেছেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা। আজ বুধবার ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়ামের উদ্বোধন করে দেবোলাল গার্লোসা বলেন, ডিমাসা জনগোষ্ঠীর এক প্রচীন ঐতিহ্য ও কৃষ্টি-সংস্কৃতি রয়েছে। অসমের বিভিন্ন প্রান্তে ডিমাসা রাজত্বের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ডিমাসা জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি প্রাচীন কৃষ্টিকলাকে সংরক্ষিত করে রাখতেই এই ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিমাসা কলা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে কোনও ছাত্র বা কেউ অধ্যয়ন করতে চাইলে তা করতে পারবে। কারণ এখানে একটি রিসার্স সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, মাইবাঙে যেভাবে ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে জাটিঙ্গায় ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন উপজাতি জনগোষ্ঠীরও হেরিটেজ মিউজিয়াম নির্মাণ করা হবে।

দেবোলাল গাৰ্লোসা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, গত আট বছরে ডিমা হাসাও জেলায় শান্তি ও প্রগতির পাশাপাশি যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তা সকলেই জানেন। তাই ভবিষ্যতে পাহাড়ি জেলায় শান্তি ও উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে এই লক্ষ্যে আগামী ১৭ জানুয়ারি হাফলং এনএল দাওলাগাপু স্পোর্টস কমপ্লেক্স-এ বিজেপির এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সিইএম দেবোলাল বলেন, এই সমাবেশে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, আজ বুধবার মাইবাং খাসমাইপুরে উদ্বোধিত ডিমাসা হেরিটেজ মিউজিয়াম পর্যটকদের জন্য অন্যতম এক ভ্রমণস্থল হিসেবে পরিগণিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের অধ্যক্ষ মোহিত হোজাই, পরিষদের কার্যনিবাহী সদস্য প্রবীতা জহরি, মনজিৎ নাইডিং প্রমুখ বহুজন।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande