ডিমা হাসাও জেলায় উদযাপিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮-তম জন্মজয়ন্তী
ডিমা হাসাও জেলায় উদযাপিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮-তম জন্মজয়ন্তী
হাফলঙে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮-তম জন্মজয়ন্তী


হাফলং (অসম), ২৩ জানুয়ারি ( (হি.স.) : রাজ্য সরকারের ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮-তম জন্মজয়ন্তী বিভিন্ন কার্যসূচির মাধ্যমে পরাক্রম দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি ডিমা হাসাও জেলায়ও রাজ্য সরকারের ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে এবং বাঙালি পরিষদ অসম, ডিমা হাসাও জেলা কমিটি, বাঙালি ছাত্র সংস্থা, বাঙালি যুবছাত্র ফেডারেশনের সহযোগিতায় হাফলঙের পিএমশ্রী সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতাজির ১২৮-তম জন্মজয়ন্তী পরাক্রম দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পিএমশ্রী সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং আকস্মিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে আজাদহিন্দ বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মলগ্ন ঘোষণা করা হয়। তার পর অনুষ্ঠিত হয় এক সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনপাইনন থাওসেন, হাফলং পুর পর্ষদের চেয়ারপার্সন রিপা হোজাই, কুলেন্দ্র দাওলাগাপু, হাফলং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্যামানন্দ চৌধুরী, পিএমশ্রী সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সমীর মজুমদার, তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আধিকারিক পুরবী ফংলো, ডিমা হাসাও জেলার বরিষ্ঠ সাংবাদিক অনুপকুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠিত সভায় সব বক্তা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের কথা বিশদভাবে তুলে ধরে সবাইকে নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। তার পর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরবর্তী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।

এদিকে ডিমা হাসাও জেলার উমরাংসোতে বাঙালি পরিষদ অসমের আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে পরাক্রম দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নেতাজির প্রতিকৃতি সহ এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় উমরাংসো শহরে। তাছাড়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande