বাঁকুড়া, ১৩ অক্টোবর (হি. স. ) : বাঁকুড়া শহরের স্থায়ী ভাবে লাগানো জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিজেপি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে। জয় ভারত মাতা শ্লোগান দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়।এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সন্ধ্যায় জুনকরাবেদিয়া পাঁচ মাথা ঘোড়ামোড়ে । এই ঘোড়ামোড় অত্যন্ত জনবহুল।এই মোড়ের মাঝখানে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ভাবে একটি জাতীয় পতাকা তোলা ছিল। সেই জাতীয় পতাকাটি কেউ বা কারা নামিয়ে দেয়। সে খবর ছবি সহ চলে যায় রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তিনি
জাতীয় পতাকা নামানো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।সেই বার্তা মুহূর্তে ভয়রাল হয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পরেই জুনবেদিয়া ঘোড়া মোড়ে এসে জড় হয় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকেরা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতির নেতৃত্বে ভারত মাতা কি জয় শ্লোগান দিতে দিতে ফের পতাকাটি তোলা হয়। যদিও তাদের দাবি, কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নয়, বাঁকুড়াবাসী হিসাবে তারা এই কাজে নেমেছেন। জাতীয় পতাকা দেশের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও সম্মানের। এটা চক্রান্ত করে নামানো হয়ে থাকতে পারে। জাতীয় পতাকা বিষয়ক আইনের সংশোধনীতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে জোরালো আলো থাকলে রাতেও জাতীয় পতাকা তুলে রাখা যেতে পারে । জুনবেদিয়া মোড়ে জোরালো আলোর ব্যবস্থা থাকা সত্বেও জাতীয় পতাকাটি কেন নামিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তাদের বোধগম্য নয়। তাই ফের পতাকাটি তুলে দেওয়া হল। এই পতাকা উত্তোলনের সময় কৌতুহলী মানুষের ভীড় জমে যায়। এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য, জুনবেদিয়ার মোড় বাঁকুড়া শহরের অন্যতম প্রবেশদ্বার। শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম ছাড়াও দুর্গাপুর, মেজিয়া, রানীগঞ্জ, বড়জোড়া, বেলিয়াতোড়, সোনামুখী, বর্ধমান, বিষ্ুপুর, মেদিনীপুর, খাতড়া, সিমলাপাল ইত্যাদি জায়গা যাওয়ার বাস স্ট্যান্ড এই মোড়ে রয়েছে। তাই জায়গাটি এমনিতেই জমজমাট। বাসযাত্রীদেরও সেখানে ভীড় জমাতে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শনিবার মধ্যরাতে রাজ্য পুলিশ জাতীয় পতাকা সরিয়ে ফেলেছে। গত ১৫ আগস্ট ২০২৫ প্রাক্তন সৈনিকরা জাতীয় পতাকাটি এই ঘোড়া মোড়ে উত্তোলন করেছিলেন অপারেশন সিন্দুরের পরে ভারতের চেতনার বীরত্বের প্রতীক হিসাবে । কিন্তু গত শনিবার গভীর রাতে পুলিশের কথায় বাধ্য হয়ে সেই পতাকা খুলতে হয়। তাই এই বিষয়ে এলাকায় নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, অপারেশন সিন্দুর ও সেনা বাহিনীর নাম জড়িত থাকায় চক্রান্ত করে এটি খোলা হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সোমনাথ বরাট