কলকাতা, ১৪ অক্টোবর (হি. স.) : চম্পাহাটির হাড়ালে বাজি বাজার কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে। কালী পুজোর বাকি কয়েকটা দিনে ফুরসত নেই ক্রেতা থেকে বিক্রেতার। এর মধ্যেই নানা ধরনের আতসবাজির পসরা নিয়েই সেজে উঠেছে বারুইপুর থানার চম্পাহাটির হাড়াল। এবছর বাজি বাজারে আগাম দুর্ঘটনা রুখতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। বাজি ব্যবসায়ী এবং পুলিশের সমন্বয় গড়ে তোলা কোর কমিটি নিয়মিত সেখানে নজরদারিতেই ব্যস্ত। বারুইপুর পুলিশ জেলা সূএে মঙ্গলবার জানা গেল যে, বাজি বাজারকে ঘিরে সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বক্ষণ দমকলের একটি ইঞ্জিন রাখা হয়েছে। যাতে আগুন লাগলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। চীনের মোড় থেকে ভিতরে যত এগিয়ে যাওয়া, রাস্তার দু’ধারে চোখে পড়বে হরেক রকমের বাজির দোকান। শোভা পাচ্ছে রকমারি বাজিও। তবে এবার রাস্তায় যত্রতত্র প্লাস্টিক পেতে বাজি নিয়ে বসার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কড়া হাতে মোকাবিলা করার পরিকল্পনা। সুতরাং অস্থায়ী দোকান দেখলে সঙ্গে সঙ্গে তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি দোকান মালিককে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল পুলিশ। সেই নির্দেশ মালিকরা ঠিকমতো পালন করেছেন কি না, তা নিয়েও নজরদারি অব্যাহত। পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে কোর কমিটি।এর পাশাপাশি, কোনও দোকানে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন কোর কমিটির সদস্যরা। চিনের মোড়ে মাইকে প্রতিনিয়ত ঘোষণা করা হচ্ছে - সবুজ বাজির বাজারে সকলকে স্বাগত। কেউ দেশলাই, লাইটার নিয়ে দোকানে ঢুকে পড়লে তাঁকে নিষেধ করা হচ্ছে। পুলিশ বাজি বাজারে খাবারের দোকান করার অনুমতি দেয়নি। মূল কারণ, গ্যাস বা স্টোভের আগুন থেকে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।প্রতি বছর বাজারে টোটো, অটো, চার চাকার গাড়ি, বাইক, স্কুটার নিয়ে ঢুকে পড়েন অনেকে। তাতে যানজট তৈরি হয়। এবার তা রুখতে চীনের মোড়েই গাড়ি পার্কিং করতে নির্দেশ। যদিও কোন গাড়ি ঢুকে পড়ে, তাহলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালককে ডেকে সতর্ক করা হচ্ছে। হাড়াল বাজি কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কোর কমিটিও নজর রাখছে এব্যাপারে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখেনি পুলিশ। সমস্ত দিকেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত