নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর (হি. স.): পোষণ শুধুমাত্র পুষ্টি নিয়ে নয় – এটি শক্তিশালী, স্বাস্থ্যবান এবং আরও সক্ষম ভারতের লালন নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পথনির্দেশে অষ্টম রাষ্ট্রীয় পোষণ মাহ্ (১৭ সেপ্টেম্বর – ১৬ অক্টোবর, ২০২৫)-এর সূচনা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ধারে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ। স্বাস্থ্যবান পরিবার এবং এক বিকশিত ভারতের ভিত্তি হিসেবে মহিলাদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টিতে দেওয়া হয়েছে জোর। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি )।
পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর ২০২৫) উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে হিমালয়ান কালচারাল সেন্টারে অষ্টম রাষ্ট্রীয় পোষণ মাহ্-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে এক মাস ব্যাপী জন-আন্দোলন, যা উৎসর্গ করা হয়েছিল দেশজুড়ে মিশন সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি এবং পোষণ ২.০-এর অধীনে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধি, সকলের অংশগ্রহণ এবং ব্যবহারিক পরিবর্তনে ।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী সাবিত্রী ঠাকুর। এছাড়াও, উপস্থিত থাকবেন উত্তরাখণ্ডের মহিলা ক্ষমতায়ন এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী রেখা আর্য, রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী গণেশ যোশী এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের পাশাপাশি, রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকারা।
এবছর পোষণ মাহ্ উদযাপন হয়েছে দেশজুড়ে “সুস্থ নারী, সশক্ত পরিবার” এই থিম নিয়ে। জোর দেওয়া হয় মহিলা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির উন্নতির ওপর। সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পরিষেবার ওপরেও জোর দেওয়া হয়। এর মূল বিষয়গুলি হল স্থূলত্বের মোকাবিলা, চিনি এবং তেলের ব্যবহার হ্রাস, অতি শৈশবকালীন যত্ন এবং শিক্ষা, শিশু এবং কিশোরদের খাওয়ানোর অভ্যাস, পুষ্টি নিয়ে সচেতনতা, ভোকাল ফর লোকাল।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী অন্নপূর্ণা দেবীর নেতৃত্বে একমাস ব্যাপী পোষণ মাহ্ ২০২৫ উদযাপনে সামিল হয় বিভিন্ন মন্ত্রক, দপ্তর এবং সমাজ সংগঠনগুলি। প্রকৃতই “পুরো সরকার, পুরো সমাজ” এই নীতির ভিত্তিতে। পরিবার স্তরে পুষ্টির প্রদর্শন থেকে শুরু করে বৃহৎ আকারে সচেতনতা অভিযান কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে সুপোষিত ভারতের লক্ষ্যে সকলের একরকম জাতীয় সংকল্প – একটি পুষ্ট, স্বাস্থ্যবান এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত দেশ – ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারতের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দেখানো হবে কীভাবে মানুষকে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়েছে, তৃণমূলস্তরে কি কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পোষণ এবং মিশনশক্তি চ্যাম্পিয়নদের পুরস্কৃত করা হবে। এটি সমন্বিত কর্মপ্রয়াসের উদযাপন, সুপোষিত এবং বিকশিত ভারতের জন্য জন-আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / ফারজানা পারভিন